|
|
|
|
পশ্চিমে ভোট কমেছে ১০ শতাংশ |
‘সন্ত্রাস’ই হাতিয়ার করে ফের আন্দোলনে বামেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সেই পথেই নামল বামফ্রন্ট। রাজ্য ফ্রন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল হয়। মিছিল থেকে শান্তি রক্ষার আহ্বান জানানো হয়। বিকেলে মেদিনীপুর শহরের কলেজ মোড়ের সামনে থেকে মিছিল বেরোয়। নেতৃত্ব দেন সিপিএমের দীপক সরকার, সিপিআইয়ের সন্তোষ রাণা প্রমুখ।
বস্তুত, একদা লালদুর্গ বলে পরিচিত এ জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এ বার ফ্রন্টের ফল শোচনীয় হয়েছে। একধাক্কায় প্রায় ১০ শতাংশ ভোট কমেছে। ফলে, উদ্বিগ্ন ফ্রন্টের একাংশ নেতৃত্বে। কেন এমন হল, দলীয় স্তরে তার পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ইতিমধ্যে জেলা বামফ্রন্টের একদফা বৈঠক হয়েছে। সেখানে ফল নিয়ে প্রাথমিক পর্যালোচনা হয়। এ বার ৬৭টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে মাত্র ২টি ফ্রন্টের দখলে এসেছে। ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে একটিও দখলে আসেনি। কমেছে জনসমর্থনও। দু’বছর আগে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফ্রন্ট প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এ বার সেখানে ভোট পেয়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। একধাক্কায় প্রায় ১০ শতাংশ ভোট কমে যাওয়াটা ফ্রন্টের কাছে অপ্রত্যাশিত। পাশাপাশি, উদ্বেগের। কেশপুর, গড়বেতা থেকে শুরু করে নারায়ণগড়, পিংলা- সর্বত্র ‘নক্ষত্র’ পতন। |
মেদিনীপুর শহরে বামেদের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র। |
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের নির্বাচনী এলাকা নারায়ণগড়ের তিনটি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে তিনটিই তৃণমূলের দখলে। মিলিত ভাবে শাসক দলের জয়ের ব্যবধান ১৬ হাজার ১৯৩। পিংলা থেকে জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য পরাজিত হয়েছেন ১৩ হাজার ২৪৮ ভোটের ব্যবধানে। প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূলের অজিত মাইতি যেখানে ২৬ হাজার ৩৭৫টি ভোট পেয়েছেন, সেখানে অন্তরাদেবীর প্রাপ্ত ভোট ১৩ হাজার ১২৭। ফ্রন্টের এক প্রবীণ নেতার স্বীকারোক্তি, “এ বার ফল খারাপ হয়েছে। কেন এমন হল, ব্লক ধরে ধরে তার পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।” তবে, এরমধ্যেই আশার আলো খুঁজছে ফ্রন্ট। ফ্রন্ট নেতৃত্বের বক্তব্য, ২টি আসনে দখলে এলেও কিছু আসনে কম ব্যবধানে পরাজয় হয়েছে। বেশির ভাগ আসনে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান যেখানে ১৮ হাজার, ২০ হাজার। সেখানে ১৯টি আসনে দলীয় প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন ৫ হাজারের কম ভোটের ব্যবধানে। যেমন, ডেবরার একটি আসনে ১ হাজার ৬৭৮, খড়্গপুর- ১ এর একটি আসনে ১ হাজার ২২৩, খড়্গপুর- ২ এর একটি আসনে ১ হাজার ৩৪৪, সাঁকরাইলের একটি আসনে ২ হাজার ২২৪, দাঁতন- ২ এর একটি আসনে ২ হাজার ৯১৫, নারায়ণগড়ের একটি আসনে ৩ হাজার ৭৮৭, কেশিয়াড়ির দু’টি আসনের মধ্যে একটিতে ২ হাজার ১২৫ এবং অন্যটিতে ২ হাজার ৩৯৬, দাসপুর- ২ এর একটি আসনে ৩ হাজার ৬৭। |
|
|
|
|
|