ঈদে বাজার মাতাচ্ছে বেলুন, সার্কেল
বেলুন ফিট আর রাউডি রং। ছেলেদের এই প্যান্ট-ই এ বার ঈদের বাজার মাতাচ্ছে।
পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। তাদের মন জিতেছে ‘সার্কেল’ সালোয়ার আর লং কুর্তি। আর শাড়ির বাজারে হিট ‘ভেজিটেবল কালার’। তা সে তাঁত হোক, চান্দেরি, পাটোলা বা বুটিক।
রাত পোহালেই খুশির ঈদ। নতুন জামাকাপড় তো কিনতেই হবে। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বাজারে ভিড় বাড়তে শুরু করেছিল। মেদিনীপুরের বড়বাজার হোক বা খড়্গপুরের গোলবাজার, সর্বত্র এক ছবি। বুধবার অবশ্য ভিড় চূড়ান্ত আকার নেয়। হাতে মাত্র একদিন। এ দিন তাই জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ শহরের বাজারে ভিড় জমিয়েছিলেন।

চলছে কেনাকাটা।
কর্মসূত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁরাও ফিরে এসেছেন। এ দিন অনেকেই সপরিবার কেনাকাটা করেন। ঈদ উপলক্ষে আজ, বৃহস্পতিবারও বাজার খোলা থাকবে। মেদিনীপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মলয় রায়ের কথায়, “অন্য বছরের তুলনায় এ বার ভিড়টা একটু বেশিই। আগে এতটা আগ্রহ দেখা যায়নি। তাই নিয়ম মেনে বৃহস্পতিবারও বাজার বন্ধ থাকার কথা থাকলেও জামাকাপড়ের সব দোকানই খোলা থাকবে।” খড়্গপুর চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক রাজা রায়ও বলেন, “এ বার ঈদের বাজার ভীষণ ভাল। সন্ধের পর তো বাজারে পা ফেলার জায়গা থাকছে না।”
বিক্রি কি বেড়েছে? মেদিনীপুর বড় বাজারের ব্যবসায়ী সুশীল কোঠারি, গোপাল ভূতড়া থেকে শুরু করে খড়্গপুর গোলবাজারের ব্যবসায়ী ফিরদৌস হোসেনের মতে, ১০-১৫ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে, এটা চোখ বন্ধ করে বলা যায়। স্বভাবতই তারা খুশি। অনেকেই প্রচুর মাল মজুত করেছেন। মলয়বাবুর কথায়, “সব বড় ব্যবসায়ীরাই ঈদের আগে থেকেই প্রচুর মাল তোলেন। এ বার একটানা রমরমিয়ে বাজার চলবে।” তাই ছোটখাটো কিছু ব্যবসায়ী, যাঁদের অতিরিক্ত সামগ্রী মজুত রাখার সামর্থ্য কম, তাঁদের অবশ্য মাঝ পথে ফের কিছু সামগ্রী কিনতে হয়েছে।

ঘাটাল শহরে কেনাকাটার ভিড়।
এ বার ঈদের বাজারে সব থেকে ‘হিট’ কী? ফিরদৌসের কথায়, “ছেলেদের পোলো আর বেলুন ফিট প্যান্ট। সব রাউডি কালার অর্থাৎ চড়া লাল, হলুদ বা নীল রং।” তবে জামার ক্ষেত্রে বিশেষ নতুনত্ব নেই। এ বার ‘চেক শার্ট’ বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানালেন। আর মেয়েদের? সুশীল কোঠারির কথায়, “সার্কেল সালোয়ার আর লং কুতি।” তবে গৃহবধূদের ক্ষেত্রে কোনও নতুনত্ব নেই। তাঁত হোক বা বুটিক-সব শাড়ির ক্ষেত্রেই এ বার তুলনায় হালকা রং, মার্জিত ডিজাইন। কিন্তু বাজার মাত করতে তো ‘ফ্যাশন’ও জরুরি। তাতে বিক্রিও বাড়ে। তা হলে শাড়ির ক্ষেত্রে নতুনত্ব নেই কেন? গোপাল ভুতড়ার জবাব, ‘‘শাড়ির আসল বাজার কিন্তু পুজোয়। তখন তো নতুন নাম, নতুন ডিজাইন দিতেই হবে।”

—নিজস্ব চিত্র।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.