|
|
|
|
ত্রিপুরার প্রাথমিক স্কুলের পরিকাঠামো
বেহাল,
রিপোর্টে জানাল সিএজি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
শিক্ষার অধিকার আইন কার্যকর হওয়ার কয়েক বছর পরও ত্রিপুরার অধিকাংশ সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। এমনই তথ্য মিলল ‘কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল’-এর (সিএজি) সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের ওই স্কুলগুলিতে পানীয় জল, শৌচাগার, খেলার মাঠ, মিড-ডে মিলের রান্নাঘর নেই। বেহাল দশায় রয়েছে স্কুলের রাস্তাও। ২০০৬-০৭ থেকে ২০১০-১১ আর্থিক বছরে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ১৮৯৫.১০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব কে ভি সত্যনারায়ণ জানিয়েছেন, ২০১১-১২ আর্থিক বছরে রাজ্য সরকারের আর্থিক হিসাব এবং ব্যয়-বরাদ্দের হিসেব নিয়ে সিএজি রিপোর্ট এখনও বিধানসভায় জমা পড়েনি।
২০১১ সালের সিএজি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ত্রিপুরার ৮টি (পূর্বতন চারটি) জেলায় রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত এবং উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ (টিটিএএডিসি) নিয়ন্ত্রিত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলের সংখ্যা ৪২৫০টি। সে গুলির মধ্যে ৩৭ শতাংশ স্কুলে শৌচাগার নেই, ৫৭ শতাংশ স্কুলে মেয়েদের শৌচাগার নেই, ৮৮ শতাংশ স্কুলে বিদ্যুৎ নেই, ৩৮% স্কুলে খেলার মাঠ নেই, ৪২% স্কুলে রাস্তা নেই, ৩০% স্কুলে রান্নাঘর নেই এবং ১৮% স্কুলে নেই পানীয় জলের সুবিধা। রাজ্যের পূর্বতন বিরোধী দলনেতা রতনলাল নাথের অভিযোগ, ‘‘সরকারি স্কুলগুলিতে পরিকাঠামোর অভাব এখনও রয়েছে। তার জন্য বামফ্রন্ট সরকারের স্বজনপোষণ নীতি এবং আর্থিক দুর্নীতি দায়ী।’’
স্কুলশিক্ষা মন্ত্রী তপন চক্রবতীর দাবি, ২০১১-১৩ আর্থিক বছরে রাজ্যে স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর অনেকটাই উন্নয়ন করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্যেও এ রাজ্যে সাক্ষরতার হার ৮৮ শতাংশের বেশি।
সিএজি রিপোর্ট জানিয়েছে, ৬০টি স্কুলের নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, শৌচাগার এবং পানীয় জলের সমস্যার জন্য ওই সব স্কুলে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির হার হ্রাস পেয়েছে।
সর্বশিক্ষা অভিযানের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ব্ল্যাকবোর্ড, মাদুর, চক, ডাস্টার, রেজিস্টার-সহ পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য প্রতিটি প্রাথমিক স্কুল এবং উচ্চতর প্রাথমিক স্কুলকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক অনুদান দিতে হবে। সিএজি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কয়েকটি ক্ষেত্রে তহবিল থাকা সত্ত্বেও জেলার স্কুল পরিদর্শক স্কুলগুলিকে সেই টাকা দেননি। |
|
|
|
|
|