প্রতিশ্রুতিই সার। সমস্যার সমাধান সেই তিমিরেই। বেহাল দশা বাস টার্মিনাসের, অন্য দিকে পরিকল্পনাতেই আটকে আধুনিক টার্মিনাস প্রকল্প।
সল্টলেকে করুণাময়ী বাস টার্মিনাসের বেহাল দশা। কিছু ছোট রুটের বেসরকারি বাস ও দূরপাল্লার বাস ছাড়ে এখান থেকে। তবে যাত্রী থেকে চালক সকলেরই ক্ষোভ, টার্মিনাস কোথাও গণপ্রস্রাবাগার, কোথাও ভেঙেচুরে বেহাল। নিত্যযাত্রী রমেন সেনের অভিযোগ, টার্মিনাসের রাস্তা ভেঙেছে দীর্ঘ দিন। শেডগুলিও ভাঙা। দুর্গন্ধে টেকা দায়। বাসচালকদের অভিযোগ, চালকদের বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা নেই। রাতে আলোর অভাব। টার্মিনাসের একটি অংশ শাট্লের দখলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগে একাধিক রুটের বাস মিলত, কিন্তু অধিকাংশ রুট সরানো হয়েছে।
পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের জবাব, “আমাদের দফতরের একাধিক ডিপো ও বাস টার্মিনাস আছে। সবগুলির জন্য সুসংহত পরিকল্পনা করা হবে।”
এ দিকে, ৫ নম্বর সেক্টরে একাধিক বাসরুট। কিন্তু নির্দিষ্ট বাস টার্মিনাস নেই। একটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের দাবি উঠেছিল। একটি আধুনিক বাস টার্মিনাস প্রকল্পের কথা ঘোষণাও করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাঁচ একর জমিও চিহ্নিত হয়। কিন্তু নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, জমিটি তাদের, দেওয়া রয়েছে পরিবহণ দফতরকে। ফলে সেক্টর ফাইভের দায়িত্বপ্রাপ্ত নবদিগন্ত -কর্তৃপক্ষকে কী ভাবে ওই জমি দেওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় ছিলই। সেই জটেই আটকে প্রকল্পটি। নবদিগন্ত এখনও জমি হাতে পায়নি। কাজও শুরু হয়নি। এ দিকে, নতুন করে ভলভো বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট টার্মিনাসের অভাবে তা ঠিকমতো ধরা যাচ্ছে না।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথায়, “পরিকল্পনা হয়েছিল। জমি কোনও সমস্যা নয়। নবদিগন্ত প্রস্তাব পাঠালে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।” যদিও নবদিগন্ত শিল্পনগরীর ভাইস চেয়ারম্যান তথা সল্টলেকের বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, “বাস টার্মিনাস প্রয়োজন। কিন্তু জমির মালিক নবদিগন্ত নয়। প্রয়োজনীয় জমি নিয়ে যৌথ ভাবেই আলোচনা হয়েছিল। এ নিয়ে পরে আবার আলোচনা হবে।” |