দু’পক্ষেরই লাভ।
ছোট ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের জন্য নয়া শিল্প তালুক গড়তে চায় রাজ্য। আবার আয়ের নতুন পথ খুঁজতে নিজেদের পড়ে থাকা জমিতে সেই শিল্প তালুকই গড়তে আগ্রহী দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি)। শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথাবার্তার পর পানাগড়ে শিল্প তালুক গড়ার কথা ঘোষণা করল রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থা। পরিকাঠামো গড়ার কাজ শেষ হলে যেখানে ঠাঁই পাবে মূলত কৃষি ভিত্তিক ছোট ও মাঝারি শিল্প। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তাতে দু’পক্ষই লাভবান হবে বলে শিল্পমহলের দাবি। |
ডিভিসি-র প্রায় ৩,০০০ একর বাড়তি জমি পড়ে রয়েছে। বুধবার এমসিসি চেম্বারের অনুষ্ঠান শেষে সংস্থার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সেন জানান, আপাতত এ রাজ্যে পানাগড়ের ২৫০ একর ও ঝাড়খণ্ডের পাঞ্চেতে ১,০০০ একরের দু’টি জমিকে শিল্প তালুক গড়ার জন্য চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। তাঁর দাবি, “আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প স্থাপনে রাজ্য গুলিকে সাহায্য করাও আমাদের উদ্দেশ্য।” উল্লেখ্য, পানাগড়ে তালুক গড়া নিয়ে মুম্বই শিল্প সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক দফা কথাও হয়েছিল তাঁর।
প্রস্তাব প্রসঙ্গে রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী বাগচি বলেন, “যত এ ধরনের তালুক হবে ততই ছোট শিল্পের প্রসার ঘটবে।” পরিকাঠামো-সহ শিল্প তালুক আরও বেশি গড়ে উঠলে, জমি জোগাড় করা ও পরিকাঠামো গড়ার সমস্যা কিছুটা এড়ানো যাবে বলেই মনে করেন ছোট শিল্পের সংগঠন ফসমি-র প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য এবং বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বারের সেক্রেটারি ডি পি নাগ। |