প্রধান শিক্ষক না আসায় স্কুলে তালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাড়ুই |
প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন স্কুলে আসেন না। ফলে সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। মূলত এই আভিযোগে স্কুলে উপস্থিত সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাকে স্টাফ রুমে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন আভিভাবকদের একাংশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পাড়ুই থানা এলাকার বাতিকা অভেদানন্দ বিদ্যাপীঠে। বিক্ষোভের জেরে এ দিন বন্ধ থাকল পঠন-পাঠন। একটিও ক্লাস না করে বাড়ি ফিরতে হল ছাত্রছাত্রীদের। মিড-ডে মিলের রান্নার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর দলের সদস্যরা এলেও রান্না হয়নি। ঘণ্টা চারেক স্টাফ রুমে আটকে থাকার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় মুক্তি পান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাতিকা গ্রামের ওই স্কুলটি বরাহনগর রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিচালিত। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১২০০।
এ দিন বিক্ষোভ সামিল হওয়া অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধানশিক্ষক প্রদীপকুমার ঘোষ দীর্ঘদিন স্কুলে আসেন না। স্কুলে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে এলেও আভিভাবকহীন পরিবারের যা হয়, ওই স্কুলের অবস্থাও তেমনই। এ ছাড়াও, প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। প্রধানশিক্ষক প্রদীপবাবু স্কুলে না আসায় এবং ওঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। যোগাযোগ করা যায়নি জেলা স্কুল পরিদর্শক সাদের আলি মির্ধার সঙ্গেও। তবে বরাহনগর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শাখা দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষ সেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ বলেন, “মাস কয়েক আগে সরকার পোষিত স্কুলকে সরকার অধিগৃহীত স্কুলে রূপান্তর করাকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহ-শিক্ষকদের একটা বিরোধ হয়েছিল বলে জানি। অসুস্থ হয়ে উনি ছুটিতে আছেন। সোমবার কাজে যোগ দিলে অভিভাবকদের সঙ্গে অলোচনায় আশা করি সমস্যা মিটবে।” |
অ্যাম্বুল্যান্সে বাসের ধাক্কা
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
দুর্ঘটনার পরে। —নিজস্ব চিত্র |
প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল অ্যাম্বুল্যান্স। ওই বধূ ও তাঁর সদ্যোজাত সন্তান সুস্থ থাকলেও শাশুড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ঘটনাস্থলেই মালা গিয়েছেন। মৃতেরা হলেন রহিমা বিবি (৪২), শেখ কাসু (২৫)। বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে সিউড়ি এসসি কলেজের কাছে, মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ির বাঁশজোড় গ্রামের বধূ মইমা বিবিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সিউড়িরই হোসনাবাদের বাসিন্দা অ্যাম্বুল্যান্স চালক শেখ কাসুকে ডেকে পাঠানো হয়। সঙ্গে ছিলেন ওই বধূর শাশুড়ি রহিমা বিবি ও আশা কর্মী রুনা বিবি। বাঁশজোড় গ্রাম থেকে জাতীয় সড়কে উঠতেই শিলিগুড়িগামী একটি সরকারি বাস ওই অ্যাম্বুল্যান্সে ধাক্কা মারে। অ্যাম্বুল্যান্সটি পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই কাসু ও রহিমা বিবির মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় আশাকর্মীকে সিউড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। দুর্ঘটনার পরেই বাসের চালক ও কর্মী পলাতক। যাত্রীরাও যে যার মতো চলে গিয়েছেন। পুলিশ বাসটি আটক করেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর্তি হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন নইমা বিবি। দু’জনেই সুস্থ রয়েছে। |
মারধরের নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নানুর |
নির্বাচনের পরে ফের প্রকাশ্যে এসে পড়ল নানুরে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’। বুধবার সকালে কাজলগোষ্ঠীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত শেখ হাসু নামে স্থানীয় ছাতিম গ্রামের তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম ওই কর্মীকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। দলের জেলা কমিটির সদস্য আব্দুল কেরিম খান অবশ্য দাবি করেছেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই।” দলেরই নানুর ব্লক কার্যকরী সভাপতি অশোক ঘোষও বলেন, “ছাতিম গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কী কারণে, খতিয়ে দেখছি।” ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |