“গৌতম দাস শুধু কবি নন, মানুষও বটে।”— এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে বইটির কবি পরিচিতিতে। তাঁর কবিতাতেও উঠে এসেছে সে কথা। সিউড়ির ‘রাঢ়’ প্রকাশনা সংস্থা থেকে সদ্য প্রকাশিত হয়েছে গৌতমের নতুন কবিতার বই ‘পরাণ পুঁটুলি’। এমনিতে সেই আটের দশক থেকেই লিটল ম্যাগাজিনে কবিতা লিখে আসছেন তিনি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যাও কম নয়। ‘পরাণ পুঁটুলি’র কবিতায় এক অন্য রকমের সারল্য উঠে এসেছে। সঙ্গে ছন্দ নিয়ে খেলাও। গৌতম লিখেছেন— ‘জল খেলছে পানপাতা,
কাদা খেলছে প্রদীপ
আলে-খালে সারা বেলা
ঘুরে মরছে ছিপ।’
গৌতম খুব সহজেই কবিতায় তুলে এনেছেন রুক্ষ-মেঠো শব্দ, জটিল মুহূর্তের নানা সরল অনুষঙ্গ। কবির এমন নিরীহ শব্দ-ব্যবহার কিন্তু আরও তীব্র করেছে তার ব্যঞ্জনাকেও—
‘প্রাবল্য লেগেছে ঘরে,
উল্কি আঁকা ঘর
শতমুখে খুলে ধরে
আপন অন্তর।’
|
রামপুরহাটের বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী তমসা রায় যত্ন নিয়ে নৃত্যের একটি অ্যাকাডেমি গড়ে তুলেছেন। সেই ‘তমসা ডান্স অ্যাকাডেমি’র তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে ঘণ্টা তিনেকের একটি অনুষ্ঠান পরিবেশন করল সংস্থার একশো জন নৃত্যশিল্পী। সম্প্রতি রক্তকরবী পুরমঞ্চে হয়ে যাওয়া ওই পাশ্চাত্য নৃত্যশৈলীর নৃত্যানুষ্ঠান দর্শকদের মন জয় করেছে। অনুষ্ঠানে সংবধর্র্না দেওয়া হয় বিশিষ্ট প্রবীণ অভিনেতা সুভাষ চট্টোপাধ্যায়কে।
|
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্ম সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে
লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে সঙ্গীতানুষ্ঠান। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী |
তাঁর জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে শান্তিনিকেতনের লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে একটি অপূর্ব সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপহার দিলেন কলকাতার ‘শ্রবণা’। শনিবার ওই সংস্কৃতিক সংস্থার এগারো জন শিল্পীরা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ছাব্বিশটি গান পরিবেশন করেন। দর্শক-শ্রোতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পেয়েছে অনুষ্ঠানটি। |