ফের রামপুরহাট কলেজে তালা ঝুলিয়ে দিলেন ছাত্রসংসদের (ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত) সদস্যরা। বুধবারের ঘটনা। তবে এ বার অধ্যক্ষ নয়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ নিজে কলেজে দেরিতে আসেন। তার ওপর অন্য কর্মীরাও দেরিতে কাউন্টার খোলায় ভর্তি প্রক্রিয়ায় সমস্যা হচ্ছে। এ দিকে, অধ্যক্ষকে ঘেরাও করার প্রতিবাদে শিক্ষাকর্মীরাও ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন। দুপুর ১টা নাগাদ পুলিশের হস্তক্ষেপে তালা খোলা হয়। ফের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। |
ঝুলছে তালা। —নিজস্ব চিত্র |
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আলম শেখের অভিযোগ, “ডে- বিভাগে ভর্তি শুরু হয়নি। দু’ হাজারেও বেশি ছাত্র ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। কত জনকে ভর্তি নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষের কতাবার্তার মধ্যেও ছাত্র সংসদকে সহযোগিতা করার মনোভাব নেই। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “কলেজের গেটে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় বহিরাগতরা অবাধে প্রবেশ করছে। খেলার মাঠ পাচ্ছে না ছাত্রছাত্রীরা।” ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দেব পান বলেন, “ডে-বিভাগে ২৫৮টি আসন। ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ২৭১১ জন। নিয়ম অনুযায়ী ২৫৮ জনের সঙ্গে আরও ১৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে পারব। তবে আসন বাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে জানানো হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার জন্য ভর্তির ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে। অন্য দাবিগুলি সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। কলেজে বিশৃঙ্খলা পাকানো ও তালা দেওয়া যেন এই কলেজের ছাত্র রাজনীতির মূল রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কলেজে শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রয়েছে কি না, তা জানতে প্রায় প্রতি মাসেই পুলিশ আসে। বিক্ষোভের জেরে অধ্যক্ষ অসুস্থ হয়ে পড়ারও নজির রয়েছে এখানে। গত ৬ মাসে দশ বারেরও বেশি অধ্যক্ষ ঘেরাও হয়েছেন বলে কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। |