ধোঁয়াশা কাটেনি গোরাবাজারের খুনের ঘটনার। সোমবার রাতে গোরাবাজার পাণ্ডে লেনের বাড়ির দোতলার ঘরে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন প্রৌঢ় দীপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য (৬৫)। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরও পুলিশ খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে। খুন করে পালানোর সময়ে পড়শিদের হাতে ধরা পড়ে যায় দুষ্কৃতী নীলোৎপল রায় ওরফে বিলে। পরে স্থানীয় জনতা ওই দুষ্কৃতীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। খুনের ঘটনায় ওই যুবক ও তার দুই সঙ্গী জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ওই যুবককে গ্রেফতারের পরে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পালানোর সময় রাস্তায় পড়ে গিয়ে তার ডান পা ভেঙেছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে ধৃতকে এখনও জেরা করা সম্ভব হয়নি।” |
চলছে পুলিশি তদন্ত।—নিজস্ব চিত্র। |
এ দিকে মঙ্গলবারও ওই বাড়িতে তদন্তে যান বহরমপুর থানার পুলিশ। তবে যে অস্ত্র দিয়ে ওই প্রৌঢ়কে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান, সেই অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার হয়নি। অন্ধকারে বাড়ির আশপাশে কোথাও দুষ্কৃতীরা ওই অস্ত্রটি ফেলে দিয়েছে অনুমানে তল্লাশিও চালায় পুলিশ।
ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে যে দু’জন ওই রাতে দীপেন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে দোতলার ঘরে ছিল তাদের পরিচয় পুলিশ এখনও জানতে পারেনি। ধৃত যুবককে জেরা করে পুলিশ তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, কয়েকদিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না ওই ধৃত যুবকের। কালীগঞ্জ থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহের অভিযোগও দায়ের করেন ওই মহিলা। বর্তমানে ওই মহিলা আলাদা থাকেন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ওই প্রৌঢ় দায়ী বলেও পুলিশের অনুমান। তার জেরেই ওই খুন কি না, তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। |