|
|
|
|
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
ভারতের সঙ্গে ব্রিটেন একবিংশ শতাব্দীতে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। সেই সম্পর্ক মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করাতে গেলে ত্রিপুরা-সহ দেশের সব অঙ্গ রাজ্যগুলির ইতিহাস ও বর্তমান পরিস্থিতি জানা জরুরি, এক দিনের ত্রিপুরা সফরে এসে এ কথা বলে গেলেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার স্যার জেমস বিভান। গত কাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। তার আগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হয়।
গত কাল সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের স্যার জেমস বিভান জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনায় রাজ্যের রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা, শান্তি এবং উন্নয়নের প্রসঙ্গ উঠে আসে। ব্রিটিশ সরকার কোন কোন ক্ষেত্রে ত্রিপুরা লগ্নি করতে পারে তা নিয়েও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। বিভান বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ বা শক্তি প্রকল্প, পর্যটন শিল্প এবং উৎপাদন শিল্পে ব্রিটেন আগ্রহী। এ সব ক্ষেত্রে ত্রিপুরায় ব্রিটিশ সরকার কাজ করতে আগ্রহী।’’ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে ব্রিটেন সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় কোন কোন বিষয়ে শিল্প গড়ার সুযোগ রয়েছে সে সম্পর্কে উনি জানতে চান। সেটা তাঁকে বলা হয়েছে।’’ প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার রয়েছে ত্রিপুরায়। তা থেকে বহু শিল্প গড়া সম্ভব। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, রাজ্যে পর্যটন, রবার, ফল প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেরও ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইংরাজি ভাষা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে হাইকমিশনার জানান।
ত্রিপুরার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রশংসা করে বিভান বলেন, এখানে উন্নত মানের ইংরাজি ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে ব্রিটেন। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে এ ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করা যেতে পারে বলে তিনি জানান। বিশেষ করে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটেনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বহু সুযোগ রয়েছে। উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি ইত্যাদি দেশের থেকে অনেক সহজে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা ব্রিটিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন বলে তিনি জানান। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরার ‘ট্রানজিট ভিসা’ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে যে টানাপোড়েন চলছে, সে বিষয়েও তিনি অবগত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু হলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরও বাড়বে।’’ লাভবান হবে দু’দেশের মানুষ। |
|
|
|
|
|