প্রিয় ম্যানেজারের বদলি রুখতে ব্যাঙ্কে ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। মঙ্গলবার এমনটাই ঘটেছে ময়ূরেশ্বর থানার লোকপাড়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। বিক্ষোভের জেরে ওই ম্যানেজার এ দিন আর অন্যত্র কাজে যোগ দিতে পারেননি।
ব্যাঙ্ক ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১০ সাল থেকে ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন দেবাশিস ঘোষ। সম্প্রতি তাঁকে অন্যত্র বদলির নির্দেশ এসেছে। আজকেই ছিল ওই শাখায় দেবাশিসবাবুর শেষ দিন। এ দিনই অন্য শাখাটিতে তাঁর কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রাহক ও গ্রামবাসী মিলিয়ে প্রায় দু’শো জন ব্যাঙ্কের সামনে জড়ো হয়ে যান। তাঁরা ব্যাঙ্কের গেটে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এ দিনের বিক্ষোভের চোটে দেবাশিসবাবুর যাওয়াও আটকে যায়।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, দেবাশিসবাবুর কাজে এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তাঁর মতো মানুষ অন্য শাখায় চলে যাচ্ছেন, এটা তাঁরা মানতে পারছেন না। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট অঞ্চল কমিটির সভাপতি সুশান্ত পাল ও লোকপাড়া মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুভাষচন্দ্র ঘোষের দাবি, “দেবাশিসবাবু এখানে যোগ দেওয়ার প্রথম দিন থেকেই গ্রাহক ও এলাকার মানুষের সঙ্গে অত্যন্ত ভদ্র ব্যবহার করেন। কৃষিঋণ-সহ সমস্ত আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকায় আমরা অনেকেই উপকৃত।” এমন একজন মানুষ ব্যাঙ্ক থেকে হঠাৎ করে চলে গেলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন। “তাই দেবাশিসবাবুর বদলি রুখতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছি।”— বলছেন সুশান্তবাবুরা।
এ দিকে দেবাশিসবাবু অবশ্য বলেন, “ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানতে আমি বাধ্য। স্থানীয় বাসিন্দারা এ দিন যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েওছি। এরপর তাঁরা যে নির্দেশ পাঠাবেন, সেই অনুযায়ীই কাজ করব।”
ছিনতাই। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফেরার সময়ে দুষ্কৃতীদের কবলে পড়লেন এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর এলাকায়। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। |