দিন কয়েক ধরে টানা ল্যান্ডলাইন ফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকলেও তা ফের চালু করার উদ্যোগী হয়নি কর্তৃপক্ষ। ক্ষোভে মঙ্গলবার দুপুরে কর্মীদের আটকে রেখে দুবরাজপুরের বিএসএনএলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বেশ কিছু গ্রাহক। গ্রাহকদের অভিযোগ, শুক্রবার বিকেল থেকেই দুবরাজপুর শহর ও আশপাশ এলাকায় বিপর্যস্ত হয়েছিল বিএসএনএলের টেলি-পরিষেবা। তার ফলে থানা, হাসপাতাল, ব্লক অফিসের মতো প্রয়োজনীয় জায়গায় কোনও তথ্য জানানো বা জানা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট দফতর কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই অভিযোগে গ্রাহকেরা এ দিন তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ দিন বিক্ষোভ চলাকালীন বিএসএনএলের দুবরাজপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক (এসডিই) ছিলেন না। তাই পরিষেবা কখন স্বাভাবিক হবে সেটা জানতে না পারায় আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। ওই আধিকারিক নিয়মিত এখানে আসেন না গ্রাহকদের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, তাঁকে কার্যালয়ে আসতেই। কেন এই পরিস্থিতি হল সে ব্যাপারেও জবাবদিহি করতে হবে ও পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হবে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদের দাবি মেনে, বিকেলে এসডিই নন্দগোপাল গড়াই এলাকায় আসেন। |
তালা ঝুলছে বিএসএনএলের অফিসে। —নিজস্ব চিত্র |
শীঘ্রই পরিষেবা স্বভাবিক হয়ে যাবে— এই প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ থামে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় স্বাভাবিক হয় পরিষেবা। চিনপাইয়ের কাছাকাছি অপটিক্যাল ফাইবার কেবল কেটে যাওয়ার জন্যই সমস্যা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন নন্দগোপালবাবু। কিন্তু সেটা মেরামত করতে কেন দেরি হল, সে ব্যাপারে স্পষ্ট উত্তর দেননি ওই আধিকারিক। জেলা বিএসএনএলের জেলারেল ম্যানেজার সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে দুবরাজপুরের দয়িত্বে থাকা আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছি।”
অন্য দিকে, শুধু দুবরাজপুরে নয়, সিউড়ি-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিএসএনএলের পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। টেলি-কর্মী সংগঠনের ধর্মঘটের জন্যই এই পরিস্থিতি বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে একটি পৃথক সংস্থা হলেও ‘ই টি আর’ (ইস্টার্ন টেলিকম রিজিওন) বলে যে সংগঠনের বহু সংখ্যক কর্মী বিএসএনএলের সঙ্গে কাজ করেন, তাঁদের অনেকেই কাজে যোগ না দেওয়ায় ‘লিঙ্ক’গুলি বসে গিয়েছিল। সেগুলি ফের মেরামত করে পরিষেবা চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুব্রতবাবু। |