ফরিদাবাদ আদালতের জামিন শেষ সোমবারই। দাদার শেষকৃত্য সেরেই আবার জেলের পথে ফিরতে হবে অজিত চান্ডিলা-কে। আইপিএল স্পট ফিক্সিংয়ে তিন প্রধান অভিযুক্ত ক্রিকেটারের মধ্যে শ্রীসন্ত আর অঙ্কিত চহ্বাণ-এর মতো তিনি ভাগ্যবান নন। তিন দিনের বেশি জামিন পাননি। দুই সতীর্থ ১৬ মে গ্রেফতার হওয়ার পর জুনেই জামিন পান। দিল্লি পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মকোকা-র অভিযোগ এনেছে শুনে আরও হতাশ রাজস্থান রয়্যালসের অভিযুক্ত ক্রিকেটার। “এ রকম একটা অভিযোগ আমার আর পরিবারের কাছে বিরাট ধাক্কা। আমি স্পোর্টসম্যান, অপরাধী নই। গ্রেফতার হওয়ার পরের দিনই দাদাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সে দিনের পর থেকে আমার জীবনে অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আমার মতো কারও সঙ্গে যেন এমন না হয়,” বলেন চান্ডিলা।
তাহলে কি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে? চান্ডিলা এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি। বলে দেন, “আমি এই নিয়ে কিছুই বলতে চাই না। আমি স্তম্ভিত। আমার পরিবারের কাছে এটা খুব দুঃখের ঘটনা। জানি না আমার ভবিষ্যৎ কী। মকোকা-র ব্যাপারেও জানতাম না। আমার আইনজীবী যখন এই আইনের ব্যাপারে বিশদে বললেন, বিরাট ধাক্কা লেগেছিল।” পাশাপাশি চান্ডিলা দাবি করেন, “স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি নিয়ে আমার কিছুই জানা নেই। আমাকে কেউ কখনও কোনও প্রস্তাব দেয়নি।”
হরিয়ানার স্পিনারের দামি জিনস আর ঘড়ির শখের ব্যাপারে সবাই জানেন। এ প্রসঙ্গ তুলতেই কিছুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তিনি বলে ওঠেন, “রঞ্জি আর আইপিএলের ক্রিকেটাররা ভাল অর্থ রোজগার করে। প্রত্যেকেই তো চায় ভাল ভাল জামাকাপড় আর ঘড়ি পরতে। তার মানে তো সেই ক্রিকেটার অসৎ এমন নয়। সত্যিটা হল, ক্রিকেট থেকে আমরা যা অর্থ পাই, অসৎ উপায়ে রোজগারের প্রয়োজন পড়ে না। তা ছাড়া আমি যদি নিজের পিছনে পয়সা খরচ করি সেটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দ। এটা নিয়ে কারও মাথাব্যথা থাকা উচিত নয়।”
হতাশ, নিজেই বলছেন ভেঙে পড়েছেন এই বিতর্কে জড়িয়ে। টিভি চ্যানেলে যখন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, বোঝাই যাচ্ছে চাপে আছেন। তার মধ্যেই আবার এক সময় চাপের ঘোর কাটিয়ে চান্ডিলা বলে উঠছেন, “আমার স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হব। অনেক পরিশ্রম করেছি সেই লক্ষ্য পূরণ করতে। আইপিএলে আমার গত দু’বছরের পারফরম্যান্সই তার প্রমাণ। ঈশ্বর যদি চান সব কাটিয়ে তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরব।”
|