ভারতীয় বোর্ড যে দিন তাদের লড়াই সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেল, সে দিনই সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যমে হঠাত্ করে আলোচনায় উঠে এল আর একটা নাম। রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর কয়েকটা উদ্বৃতি তুলে দিয়ে এ দিন সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোয় বলা শুরু হয়ে যায়, দ্রাবিড় নাকি ভারতীয় বোর্ডের শুদ্ধকরণ দাবি করে বোর্ডকর্তাদের রীতিমতো এক হাত নিয়েছেন। যেখানে তিনি নাকি বলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এবং তা পরিচ্ছন্ন করতে খুব দ্রুত কিছু করা দরকার।
রাতে আনন্দবাজারকে পাঠানো এক টেক্সট মেসেজে দ্রাবিড় জানান, তিনি অবশ্যই খেলাটার শুদ্ধকরণ চান, কিন্তু বোর্ডকর্তাদের কখনও আক্রমণ করেননি। দ্রাবিড়ের মন্তব্য, তাঁর উদ্ধৃতির একটা অংশ তুলে দিয়ে বক্তব্যের সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এই সাক্ষাত্কার পুরোটা সম্ভবত বুধবার বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে বলেও জানান তিনি। |
দ্রাবিড় ঠিক কী বলতে চান, সেটা পরিষ্কার না থাকায় দিনভর এই নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে যায়। দ্রাবিড়ের যে উদ্ধৃতি নিয়ে বিতর্ক, তা এ রকম: “এই খেলাটার সঙ্গে প্রচুর মানুষ এবং প্রচুর ভক্তের আবেগ জড়িয়ে। এই ক্রিকেট ভক্তদের জন্যই আজ আমরা, ক্রিকেটাররা এই জায়গায় এসেছি। ক্রিকেটার এবং ভক্তদের জন্য খেলাটাকে ঠিকঠাক পরিচালনা করতে আছেন প্রশাসকরা। তাই খেলাটারই হোক বা বোর্ডের, সব কিছুরই বিশ্বাসযোগ্যতা থাকা দরকার। আপনার যদি একটা পাবলিক ইমেজ থাকে, তা হলে অবশ্যই আপনাকে এ ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে।”
প্রচারমাধ্যম মারফত দ্রাবিড়ের ‘বক্তব্য’ জানতে পেরে রাতে এরাপল্লী প্রসন্ন বলেন, “দ্রাবিড় কী বলেছে, তা অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত বোর্ডের। এবং সেই মতো পদক্ষেপ নিয়ে ক্রিকেটের গুরুত্ব ফেরাতে হবে।” এর আগে সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলেছিলেন, “প্রশাসকরা মনে করেন, ওরা পার পেয়ে যাবে। ওদের উপর যথেষ্ট চাপ আনা হয় না।” রাতে বোর্ডের অন্তবর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া বলেন, “আমি ব্যাপারটা জানি না। জেনে যদি কিছু বলার থাকে, মঙ্গলবার বলব।”
তখনও প্রেসিডেন্ট বা প্রাক্তন ক্রিকেটাররা জানতেন না যে দ্রাবিড়ের মন্তব্যের অপব্যাখ্যা হয়েছে। |