|
|
|
|
রাজ্যসভায় সচিন গল্পে মজলেন জাভেদের সঙ্গে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ক্রিকেট মাঠের প্রবাদ বলে, ম্যাচের আগে নেট প্র্যাকটিসের জন্য নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগে বই পরে কখনও আসেন না তিনি। আজ সংসদ দেখল, অন্য ইনিংসেও একই রকম নিয়মনিষ্ঠ সচিন তেন্ডুলকর।
রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার যথেষ্ট আগেই এ দিন সচিন সস্ত্রীক হাজির সংসদে। নীল স্ট্রাইপ শার্ট এবং কালো ট্রাউজার্স। আকাশি চুড়িদারে স্ত্রী অঞ্জলি।
ক্রিকেটের জন্য সারা পৃথিবী ঘুরতে হয়। তেন্ডুলকর সে কারণে রাজ্যসভায় নিয়মিত সময় দিতে পারেন না। আজ কিন্তু হালকা মেজাজে অনেকটা সময় কাটালেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রাজীব শুক্ল সঙ্গে করে নিয়ে এলেন তাঁদের।
রাজ্যসভায় ঢুকে জাভেদ আখতারের পাশে তাঁর নির্ধারিত আসনে বসলেন সচিন। |
|
সোমবার সংসদে সচিন তেন্ডুলকর। ছবি: পিটিআই |
নিচু স্বরে কথোপকথনে মাতলেন কবি এবং ক্রিকেটার! সভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারি যখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানালেন, ডেস্ক চাপড়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেল তাঁকে। মাঝে মিনিট দশেকের জন্য সংসদ মুলতুবি হওয়ায় স্বাভবিক ভাবেই তেন্ডুলকরকে ঘিরে জমে উঠল উৎসাহী সাংসদদের ভিড়। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় পর্ব সেরে সচিন উঠে গেলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। হাত মেলালেন মনমোহন সিংহ। এর পর নিজেই ঘুরে ঘুরে সাংসদের সঙ্গে কথা বললেন অনেক ক্ষণ।
গত জুলাইয়ে অভিনেত্রী রেখার সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শচিন। তার পর থেকে তাঁকে সংসদে দেখা গিয়েছে অল্পই। শপথ নেওয়ার পর জানিয়েছিলেন, “গত বাইশ বছরের কেরিয়ারে ক্রিকেট আমায় অনেক কিছু দিয়েছে। আজ রাজ্যসভায় মনোনীত হওয়ার মাধ্যমে শুধু ক্রিকেট নয়, অন্যান্য খেলাধুলোকেও সাহায্য করার জায়গায় পৌঁছলাম।”
এখন একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও টেস্ট ম্যাচ এবং বিজ্ঞাপনী প্রচারের কাজে ব্যস্ততা কমেনি তাঁর। তবে আজ যে ভাবে অনেকটা সময় রাজ্যসভায় কাটালেন তাতে স্বভাবতই কৌতূহল, এ বার কি ঘনঘন সংসদে দেখা যাবে সচিনকে? উত্তরে সচিন কিন্তু জানাচ্ছেন, “এখনই সেটা বলা সম্ভব নয়। আমার খেলার সময়সূচির উপরই তা নির্ভর করছে।”
সংসদে কি কখনও বক্তৃতা দেবেন তিনি? হেসে উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি টেস্ট রান-এর মালিক। কিন্তু দেহভঙ্গি বুঝিয়ে দিয়েছে, সংসদের বক্তৃতা-মঞ্চ নয়, বাইশ গজই তাঁর প্রিয়তম জায়গা। |
পুরনো খবর: সোমবার রাজ্যসভায় শপথ নিচ্ছেন সচিন |
|
|
|
|
|