|
|
|
|
নাগরির জমির একাংশের দখল পেলেন চাষিরা
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
এক দিকে, চাষীদের আন্দোলন। অন্য দিকে, উন্নয়ন হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। এই দুইয়ের সাঁড়াশি চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)-কে নাগরির বিতর্কিত জমির পরিবর্তে অন্যত্র জমি দিল ঝাড়খণ্ড সরকার। এর ফলে নাগরির জমিতে কৃষকদের আপাতত চাষাবাদ করতে আর কোনও সমস্যা রইল না। পাশাপাশি, রাজ্যে আইআইএম তৈরির পথও প্রশস্ত হল।
১৯৫৭-৫৮ সালে তৎকালীন বিহার সরকার রাঁচির নাগরিতে ২০২ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল বলে সরকারের দাবি। ২০১০ সালে সেই জমি থেকেই আইআইএম-কে ৭৬ একর, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ল (এনআইএসআরএল) কে প্রায় ৬৫ একর জমি দেওয়া হয়। ১৫ একর মতো জমি বরাদ্দ করা হয় রিং রোড তৈরির জন্য।
২০১২ সালে যখন এই জমিতে প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হয়, তখনই বাধা দেন নাগরির আদিবাসী কৃষকরা। তারপর থেকে গত এক বছর ধরে নাগরিতে লাগাতার জমি আন্দোলন চলছে। প্রাতীর ভেঙে দিয়ে জমিতে হাল দিয়েছেন কৃষকরা। পাল্টা চলেছে লাঠি, গুলিও। কৃষকরা সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছেন। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কৃষকদের অনেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও রুজু করেছে সরকার। কৃষকরা বারবার দাবি করেছেন, সরকার নাগরির জমি অধিগ্রহণ কোনও দিনই করেনি। ওই জমি তাঁদের পূর্বপুরুষদের, উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁদের।
শেষ পর্যন্ত আইআইএম-কে নাগরি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নাগরি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে, চেরিতে ৯০ একর খাস জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। সংস্থার অধিকর্তা এম জে জেভিয়ার জানান, জমি সংক্রান্ত সব কাগজ-পত্র তাঁদের হাতে এসে পৌঁছেছে। প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানও করা হয়েছে। জেভিয়ার বলেন, “মাস খানেক আগে আমরা জানতে পারি, নাগরির বদলে চেরিতে আমাদের জমি দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারেরও সহায়তাও আমরা পেয়েছি।”
রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন জোর করে কোথাও চাষের জমি নেওয়া হবে না। অতীতে নাগরিতে আন্দোলন চলার সময় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান শিবু সোরেন নিজেই কৃষকদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। জেএমএমের মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের কথায়, “নাগরির সমস্যা মিটে গেছে। নাগরির কৃষকরা আপাতত চিন্তা মুক্ত।” |
পুরনো খবর: মারমুখী জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, জখম ১৫ |
|
|
|
|
|