দু’টো-একটা সমস্যায় আইপিএলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে না বলেই মনে করেন সচিন তেন্ডুলকর। বরং মাস্টার ব্লাস্টারের মতে, এ রকম ছুটকো সমস্যা সব জায়গাতেই থাকে। কিন্তু তাই বলে সব নষ্ট হয়ে গেল, এমন ভাবার কারণ নেই। সদ্য শেষ হওয়া আইপিএল ফাইভকে ঘিরে একটার পর একটা বিতর্ক বেঁধেছে। কখনও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। কখনও শ্লীলতাহানি। নৈশ পার্টিতে মাদকসেবনের অভিযোগে ক্রিকেটার গ্রেফতার। কিন্তু সচিনকে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বলেছেন, “সমস্ত সংস্থাতেই এ রকম দু’-একটা সমস্যা থাকে। কিন্তু তা বলে পুরো সংস্থাটাই নষ্ট হয়ে গেল, এটা ভাবা ঠিক নয়।”
আগামী সোমবার রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন সচিন। উঠতি ক্রিকেটারদের যাঁর পরামর্শ স্পটফিক্সিং নয়, বরং অনুসরণ করতে হবে সেই সব ব্যক্তিত্বদের যাঁরা ঠিক রাস্তায় চলার দৃষ্টান্ত তৈরি করে গিয়েছেন। তাঁদের গুণগুলো নিতে হবে। “স্পটফিক্সিংকে কখনওই ভাল উদাহরণ বলা যাবে না। বরং তাঁদেরই অনুসরণ করা উচিত যাঁরা ঠিক পথে চলেছেন। সঠিক উদাহরণ তৈরি করেছেন,” শুক্রবার মুম্বইয়ে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে এসে বলেছেন সচিন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, জীবনে পড়াশোনার যেমন গুরুত্ব আছে, তেমনই দরকার ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য ঠিকঠাক পরিকাঠামো। অর্থাৎ, স্কুল। পাশাপাশি মেয়েদের পড়াশোনায় আরও অগ্রগতির দাবি তুলেছেন সচিন। |
“আপনার ছাত্রজীবনই ঠিক করে দেয়, আপনার জীবন কোন দিকে এগোবে। আমরা যদি পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে সামান্য কিছু অদলবদল আনতে পারি, যেমন প্রত্যেক স্কুলে অন্তত একটা ভাল শৌচাগারের ব্যবস্থা করা, তা হলে মেয়েরাও স্কুলে আসবে। ছেড়ে চলে যাবে না,” মন্তব্য সচিনের। সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, “মেয়েরাই হল পরিবারের শিরদাঁড়া। একটি পরিবারের ভবিষ্যতই পাল্টে যেতে পারে, যদি বাড়ির মেয়েদের শিক্ষাটা ঠিকঠাক হয়।”
৪ জুন রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে আসার পরে কি তিনি এই ব্যাপারটা কাজে পরিণত করা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করবেন? এ বার সচিনের উত্তর, “রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার আগেই অনেক ব্যাপার নিয়ে আমি জড়িয়ে আছি। মনে হয় না, এই কাজগুলো করতে অন্য কোনও প্ল্যাটফর্ম দরকার হবে বলে।”
নিজের স্কুলজীবনের স্মৃতিরোমন্থনও করেছেন সচিন, “স্কুলজীবনে সবাই একসঙ্গে খেলাধুলো করতাম। অনেকটা এখনকার মতোই টিমের সঙ্গে এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়ানো। শিবাজি পার্ক, আজাদ ময়দান, ক্রস ময়দান। ম্যাচ খেলার পর শিবাজি পার্কে দল বেঁধে বসে থাকা ছবিটা মনে পড়লেও খুব ভাল লাগে। এখনও।” |