ইউরো কাপ: আর বাকি মাত্র ছ’দিন
স্পেনই চ্যাম্পিয়ন, বলছেন
গত বারের ইউরো জয়ী কোচ
ত বারের ইউরো কাপ জয়ী কোচ লুইস আরাগোনেস বলছেন, এ বারও ইউরোপের দখল নেবে স্পেনীয়রাই। আর এ ব্যাপারে তাঁর কোনও সংশয় নেই। ইউরো কাপ জেতার দু’বছরের মধ্যেই বিশ্বকাপ জেতার অসাধারণ নজির গড়েছিল স্পেন। স্পেনের প্রথম বড় ট্রফি— ২০০৮ ইউরো কাপ জেতা যাঁর হাত ধরে সেই আরাগোনেস এখন প্রাক্তন কোচ। তবু নিজের হাতে গড়া দলটাকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী।
বৃহস্পতিবারই জার্মানি ও ফ্রান্স জোড়া গোলে জিতেছে প্রস্তুতি ম্যাচে। ভাল ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দুটো দলের খেলায়। বিশেষজ্ঞরা তবু স্পেনকেই এগিয়ে রাখছেন। স্পেনের সবচেয়ে অভিজ্ঞ কোচ আরাগোনেসের কথায়, “আমি নিশ্চিত, আমরাই ফের জিততে চলেছি। আমি খুব ভাল করে এই দলটাকে চিনি। এরা এখনও উন্নতি করছে...এরা জেতার জন্য কখনও ক্লান্ত হয় না।” ২০০৮ ইউরো কাপের আগে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ভালেন্সিয়া, লিভারপুল থেকে ফুটবলারদের নিয়ে এক সুতোয় গেঁথেছিলেন আরাগোনেস। আর তোরেস, দাভিদ সিলভা, জাভি, ইনিয়েস্তা, দাভিদ ভিয়ারা সে বছর ফুল ফুটিয়েছিলেন অস্ট্রিয়া-সুইজারল্যান্ডের মাঠে।
ইনিয়েস্তা, জাভি, দাভিদ সিলভা—স্পেনের তিন ভরসা।
আরাগোনেস দেশকে ইউরো কাপ জেতানোর পরই দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাচেতে কোচিং করাতে। যদিও সেখানে ছিলেন মাত্র আট মাস। বর্তমান কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কি তখন থেকেই দায়িত্বে। দেল বস্কির হাত ধরেই স্পেন এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। বর্তমান কোচের প্রশংসা শোনা যাচ্ছে প্রাক্তন কোচের মুখে। আরাগোনেস বলছেন, “দেল বস্কি খুব বুদ্ধিমান কোচ। আমাদের মডেলটাই অনুসরণ করেছিল। ও খুব শান্ত। সব কিছুই যথেষ্ট সময় নিয়ে করে।”
তবে বেশি উচ্ছ্বাস দেখাতে চাইছেন না ৭২ বছরের আরাগোনেস। দলকে সাবধান করছেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস থেকে। তাঁর বক্তব্য, “পোল্যান্ড-ইউক্রেনে স্পেনের একমাত্র সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস। কিন্তু আমার মনে হয় না, সে রকম হবে। টিমটা এখনও ক্ষুধার্ত। সবচেয়ে বড় কথা, গোটা বিশ্ব থেকে পাওয়া প্রশংসাগুলো ওদের এখনও দুর্বল করে দিতে পারেনি।” তবে মেনে নিচ্ছেন, দল যদি কিছুটা দুর্বল হয় তো সেটা দাভিদ ভিয়া আর পুওলের চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ায়। “পুওল হারিকেনের মতো। মাঠে এবং মাঠের বাইরে ওর উপস্থিতি খুব দরকার থাকে। আর ভিয়া তো অসাধারণ স্ট্রাইকার। ঠিক বোঝে ওকে কখন কোথায় থাকতে হবে। দু’জনের অভাবই বোধ করব আমরা।”
কোচিং জীবনে দাপুটে হিসাবে পরিচিত আরাগোনেস ২০০৬ বিশ্বকাপের পর শিরোনামে এসেছিলেন রাউলকে দল থেকে ছেঁটে ফেলে। স্পেনের জার্সি গায়ে সবচেয়ে বেশি গোল তো রাউলেরই। বৃদ্ধ কোচ জানান, কী ভাবে তখন থেকেই তিনি পরের ইউরো কাপের দল গঠনে নেমে পড়েছিলেন। “আমি চেয়েছিলাম এমন একটা দল যেখানে ইগোর কোনও জায়গা নেই। যেখানে থাকবে ভাল ফুটবলার, সেই সঙ্গে ভাল মানুষও। দলে অভিভাবকের কাজটা করার জন্য নির্ভর করেছিলাম কাসিয়াস, পুওল আর জাভির উপর। পরে আলোন্সো আর তোরেসের উপরও।” তাঁর মতে, সেই দল এখনও সে ভাবেই কাজ করে চলেছে। বলছিলেন, “যেখানে নতুনদের শেখানো হয় কী ভাবে অন্যের সঙ্গে মিশে যেতে হয় আর জিততে হয়।”
বিশ্বজয়ী এই দলটার গঠনে নিজের কৃতিত্ব হিসাবে চিহ্নিত করছেন, জাভি, ইনিয়েস্তা, দাভিদ সিলভা, ফাব্রেগাস, কাজোর্লাদের মতো প্রতিভাবান ফুটবলারদের এক ছাদের তলায় নিয়ে আসা। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সমালোচনাও করতে ছাড়ছেন না আগেকার কোচেদের। বলছেন, “আগেকার স্পেনীয় কোচরা শারীরিক ভাবে শক্তিশালী দল তৈরিতে বিশ্বাসী ছিল। সেখানে ফুটবল কী করে খেলা হবে সেটাই ঠিক ভাবে বোঝানো হত না।”


স্পেন
সম্ভাব্য প্রথম দল
গোলকিপার: কাসিয়াস (রিয়াল মাদ্রিদ)
ডিফেন্ডার: আরবিওল (রিয়াল মাদ্রিদ), রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ), পিকে (বার্সেলোনা) ও আরবেলোয়া (রিয়াল মাদ্রিদ)
মিডফিল্ডার: আলোন্সো (রিয়াল মাদ্রিদ), ফাব্রেগাস , ইনিয়েস্তা ও জাভি (বার্সেলোনা), দাভিদ সিলভা (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি)
ফরোয়ার্ড: তোরেস (চেলসি)
বেঞ্চে থাকবেন
গোলকিপার: ভালদেস (বার্সেলোনা), রেইনা (লিভারপুল)
ডিফেন্ডার: খোর্দি আলবা (ভালেন্সিয়া)
মিডফিল্ডার: বুস্কেতস (রিয়াল মাদ্রিদ), মাতা (চেলসি), মার্তিনেজ (বিলবাও), কাজোর্লা (মালাগা), নাভাস (সেভিয়া)
ফরোয়ার্ড: খুয়ানফ্রান (আতলেতিকো মাদ্রিদ), পেদ্রো (বার্সেলোনা), নেগ্রেদো (সেভিয়া), ইয়োরেন্তে (বিলবাও)




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.