মানুষকে সতর্ক করে এ শহরে ডেঙ্গি প্রতিরোধের মূল দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাদের ঘরেই এ বার পাওয়া গেল মশার লার্ভা। কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে ঘটেছে এই ঘটনা। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ নিজেই স্বীকার করেছেন, “এটা লজ্জার”।
কেন এবং কী ভাবে এমনটা ঘটল, তা জানতে চেয়ে পুরভবনের কেয়ারটেকারকে নোটিস পাঠিয়েছেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, তা -ও দেখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে অতীনবাবু বলেন, “আমরা মানুষকে সজাগ করছি। অথচ, পুরভবনেই জল জমার ঘটনা ঘটল। পুরসভা বলে ছাড়া হবে না। নোটিস মেনে কাজ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কেয়ারটেকারের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ক্রমাগত বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে আর হবে না।
পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের নজরে আসে, পুরভবনের বেশ কয়েকটি জায়গায় জল জমে রয়েছে। সেই জল ফেলার দায়িত্ব যাঁদের, তাঁরা নির্বিকার। এর মধ্যেই স্বাস্থ্য বিভাগ ওই জল পরীক্ষা করে দেখে, সেখানে রয়েছে ডেঙ্গিবাহী মশার লার্ভা। অতীনবাবু জানান, পাঁচ -ছ’টি জায়গায় জমা জলে মশার লার্ভা মিলেছে। |
এর মধ্যে মেয়রের ঘরে যাওয়ার পথে করিডরের সামনে রাখা একটি ডোঙাও রয়েছে। এ ছাড়া, এক তলায় মন্দিরের পাশে, পার্সোনেল ও প্রিন্টিং বিভাগের মাঝখানে এবং কর মূল্যায়ন (দক্ষিণ) দফতরের সামনে টিনের পাত্রেও মিলেছে ডেঙ্গিবাহী মশার লার্ভা। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা জমা জলের ওই সব লার্ভা নষ্ট করে দিয়েছেন।
সম্প্রতি মহাকরণ, হাইকোর্ট, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল -সহ শহরের বড় বড় বিভিন্ন ভবনে জমে থাকা জলে মশার লার্ভা রয়েছে কি না, তা দেখতে অভিযান চালিয়েছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্য -কর্মীরা। কয়েকটি এলাকায় ঘুরেছেন অতীনবাবু নিজেও। কোথাও মশার লার্ভা মিললেই পুর -আইনের ৪৯৬ ধারায় নোটিস পাঠানো হয়েছে। পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন মুখোপাধ্যায় জানান, খাস পুরভবনের জমা জলে মশার লার্ভা মেলায় কেয়ারটেকারকেও ওই ধারায় নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওই ধারায় বলা আছে, জমা জলে আর যাতে মশার লার্ভা না জন্মায়, তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মিউনিসিপ্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হবে। |