|
|
|
|
গয়ায় রেললাইন ওড়াল মাওবাদীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ফের মাওবাদী নাশকতার ঘটনা ঘটল বিহারে।
গত রাতে গয়ায় পরাইয়া এবং গুড়ারু স্টেশনের মধ্যে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে রেল লাইন উড়িয়ে দিল জঙ্গিরা। রেল সূত্রের খবর, রাত ১১টা নাগাদ গুড়ারু স্টেশনের কেবিন-ঘরে হানা দেয় সশস্ত্র জঙ্গিরা। কর্তব্যরত রেলকর্মীকে বেরতে নিষেধ করে। ঘরে রাখা কাগজপত্র, কয়েকটি যন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই রেলকর্মী জানান, জঙ্গিরা ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার পরই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
রেল জানিয়েছে, ওই লাইন দিয়ে পরপর তিনটি নয়াদিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস যাওয়ার কথা ছিল। তার আগে একটি পাইলট ইঞ্জিন রেল লাইনে নজরদারি করতে যায়। ওই ইঞ্জিনের কর্মীরা ‘ডাউন’ লাইনে জঙ্গিদের বিস্ফোরক রাখতে দেখেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই সে খবর তাঁরা কর্তৃপক্ষকে জানান। দ্রুত ওভারহেড তারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরাইয়া স্টেশনের আগে ‘আপ’ হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসকে আটকে দেওয়া হয়। সেটির পিছনে ছিল শিয়ালদহ-রাজধানী এবং ভুবনেশ্বর-রাজধানী। দাঁড়িয়ে যায় সেগুলিও। ঘণ্টাসাতেক পর আজ সকাল ৬টার পর পরিস্থিতি ক্রমে স্বাভাবিক হয়। |
|
শনিবার গয়ায় বিস্ফোরণের পর ক্ষতিগ্রস্ত রেল লাইন পরীক্ষা করছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই। |
রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অমিতাভ প্রভাকর বলেন, “বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে কয়েকটি ট্রেন দেরিতে চলছে।” রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনার জেরে হাওড়া রাজধানী, শিয়ালদহ রাজধানী, ভুবনেশ্বর রাজধানী, দুরন্তের মতো ট্রেনগুলি ৫-৬ ঘণ্টা দেরিতে চলছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাইলট ইঞ্জিনের কর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড, বোমা নিষ্ক্রিয়ক বাহিনী পৌঁছয়। তবে বিস্ফোরকটিকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণে ‘ডাউন’ লাইনের ফুটদু’য়েক অংশ উড়ে যায়। মাও-হামলার জেরে ওই লাইনে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। মেরামতির পর ফের ট্রেন চলতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য, গতকাল ওই এলাকায় মাওবাদী বন্ধ ছিল। সেই কারণেই এ ধরনের হামলা চালানো হয়েছে। রেল জানিয়েছে, মাও-হানার জেরে ‘আপ’ এবং ‘ডাউন’ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রাজধানী-সহ ১৩টি ‘আপ’ এবং ‘ডাউন’ লাইনে ৮টি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে থামিয়ে দেওয়া হয়। পটনা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় কালকা মেল। দু’টি লোকাল ট্রেনের যাত্রাপথও বদল করা হয়। |
|
|
|
|
|