বনধের দ্বিতীয় দিনে স্বাভাবিক শিলিগুড়ি
গোর্খাল্যান্ডের বিরোধিতায় ডাকা বনধের দ্বিতীয় দিনে কার্যত উপেক্ষা করে স্বাভাবিক শিলিগুড়ি। মোর্চা বিরোধী সংগঠনগুলির ডাকা প্রথম দিনের বনধে কিছুটা হলেও বিপর্যস্ত হয়েছিল শিলিগুড়ির জনজীবন। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে বনধের অস্তিত্ব খুঁজেই পাওয়া গেল না শিলিগুড়িতে। শহরের প্রধান এলাকা থেকে পাড়ার গলি সর্বত্রই খোলা ছিল দোকান পাট। এদিন শহরে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি রাস্তায় না নামলেও ঘনঘন পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন। দোকানপাট খোলা থাকায় স্বস্তির নিশ্বাস পেলেছেন। তবে স্কুল-কলেজ প্রায় বন্ধ ছিল।
দার্জিলিঙের চকবাজারে গ্যাস সিলিন্ডার সংগ্রহ। শুক্রবার রবিন রাইয়ের তোলা ছবি।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “আমরা সব সময় যে কোনও রকম বনধের বিরোধী। দলীয় নেত্রী কর্মনাশা বনধ সমর্থন করেন না। এতে কারও লাভ হয় না। শিলিগুড়ির মানুষ যে বনধে সাড়া না দিয়ে শহর সচল রেখেছেন তার জন্য তাঁদের সাধুবাদ প্রাপ্য।” বন্ধের দু’দিন সরকারি সমস্ত দফতর খোলা রাখার নির্দেশ তো ছিলই, তাতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাড়া দিয়েছেন কর্মীরা। বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা পুরোদস্তুর চালু ছিল। কাউকে কোনও রকম সমস্যায় পড়তে হয়নি। স্কুল, কলেজগুলি খোলা ছিল সারা শহর জুড়েই। বৃহস্পতিবার বাংলাভাষা বাঁচাও কমিটি সভাপতি মুকুন্দ মজুমদার শুক্রবার শহর জুড়ে পিকেটিং করবে বলে হুমকি দিলেও এদিন কোনও রাস্তাতেই কোনো পিকেটার বা বনধ সমর্থনকারীদের দেখা যায়নি। ফলে কোনও রকম অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। ডুয়ার্সের কোনও জায়গাতেই এদিন বনধের খবর ছিল না। বরং বহু মানুষকে এদিন শিলিগুড়ি থেকে রসদ বোঝাই করে পাহাড়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
রসদ সংগ্রহ করা হচ্ছে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে। শুক্রবার বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।
হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, বর্ধমান রোড, স্টেশন ফিডার রোড সহ প্রতিটি সড়কেই যানবাহন চলেছে। শহরের বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট, মহাবীর স্থান, সহ প্রতিটি বাজারই ছিল খোলা। নিয়ন্ত্রিত বাজারেও বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি। কাঁচা ফল, সবজি ও মাছের ডাক হয়েছে রোজকার মতই। নিয়ন্ত্রিত বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী শম্ভু হালদার বলেন,“আমরা দুদিনই বাজার খোলা রেখেছি। কোনও সমস্যা হয়নি।” বিধান মার্কেটের এক ব্যবসায়ী শিবনাথ গোয়েল বলেন, “বৃহস্পতিবার বন্ধ রেখেছিলাম। এদিন বন্ধ রাখলে প্রচুর ক্ষতি হত। দেখছি সব স্বাভাবিকই আছে। ভালই ব্যবসা হচ্ছে।” চলেছে সিটি অটোও। সিটি অটো মালিক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন,“আমরা দুদিনই অটো চালিয়েছি। সমস্যা নেই। শহর তো স্বাভাবিকই আছে।”

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.