সাংসদের সন্ধানে এখন অনেকগুলি চরিত্র।
আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড় যখন তপ্ত, তখন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ যশোবন্ত সিংহকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্ন তুলল মোর্চা বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের সদস্যদের নিয়ে গড়া গোর্খাল্যান্ড টাস্ক ফোর্স (জিটিএফ)। তাতেই ক্ষান্ত না হয়ে শুক্রবার তারা দার্জিলিং সদর থানায় একটি নিখোঁজ-ডায়েরিও করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, তাতে লেখা হয়েছে, সাংসদকে পাহাড়ে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী, জিটিএফ দাবি করেছে, তারা দিল্লিতে গিয়েও এলাকার সাংসদকে খুঁজে পায়নি। তাই সাংসদকে খুঁজে দিতে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়া।
সাংসদ বলে কথা! তিনি নিখোঁজ বলে ডায়েরি পেয়ে কতটা, কী করল পুলিশ? অস্বস্তির সুর দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবালের গলায়। বলেছেন, “বিশদে খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।” |
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনে গত লোকসভা নির্বাচনে পাহাড় থেকে লোকসভার সাংসদ হন যশোবন্ত সিংহ। পরে কয়েকবার পাহাড়ে যাতায়াত করলেও অধিকাংশ সময়েই তিনি দিল্লিতে কিংবা অন্যত্র থাকায় পাহাড়ের নানা মহলে ক্ষোভ রয়েছে। মোর্চা অন্দরের খবর, দলের অনেক শীর্ষ নেতাই ঘনিষ্ঠ মহলে সাংসদকে নিয়ে এই অস্বস্তি লুকোন না। মোর্চাকে কোণঠাসা করতেই জিটিএফ এমন করল, বলে মনে করছেন তাঁরা। এ দিনও দিল্লি যাওয়ার পথে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানিয়েছেন, তাঁরা সাংসদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন।
গোর্খা লিগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতি জিটিএফ-এরও অন্যতম নেতা। তিনি অবশ্য মোর্চার অভিযোগের জবাব না দিয়ে নির্লিপ্ত মুখে বলেছেন, “জিটিএফের সাধারণ সম্পাদক তথা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুনীশ তামাং দিল্লিতে গিয়েও সাংসদের খোঁজ পাননি। দার্জিলিঙে এসেও খোঁজ পাননি। সে জন্য উনি মিসিং ডায়েরি করেছেন।”
বিজেপি-র তরফে রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের ক্ষোভ, “এটা রাজনীতির দৈন্য। রাজনীতির নামে স্টান্টবাজি।” |