শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির মামলার কয়েকটি বিষয়ে জানার জন্য বোর্ডের সদস্য দুই বিধায়ক-সহ ৪ জনের সাহায্য চেয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে চার জন সদস্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, শঙ্কর মালাকার, রঞ্জন শীলশর্মা এবং চন্দন ভৌমিক। রুদ্রবাবু শিলিগুড়ির বিধায়ক এবং এসজেডিএ’র প্রাক্তন বিধায়ক। যে সব কাজ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সে সব তাঁর আমলেই হয়েছে। শঙ্করবাবু মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক এবং দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস (সমতল) সভাপতি। আর চন্দনবাবু জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি এবং রঞ্জনবাবু শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র বর্তমানে কাউন্সিলর। ওই সদস্যদের অধিকাংশই অবশ্য পুলিশের তরফে পাঠানো চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করেননি। শঙ্করবাবু, রঞ্জনবাবু, চন্দনবাবু জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে কোনও চিঠি আসেনি। রুদ্রবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইলের রিং বেজে গিয়েছে। তিনি টেলিফোন ধরেননি। পুলিশ সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, বোর্ডের সদস্যদের সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “তদন্তে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য যাচাই করতে বোর্ডে সব সদস্যের সঙ্গে আমরা কথা বলব। প্রথমে ৪ জনকে ডাকা হয়েছে। তাঁদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।” এসজেডিএ সূত্রেই জানা গিয়েছে, এসজেডিএ-র চেয়ারম্যানকে নিয়ে বর্তমানে বোর্ডের সদস্য সংখ্য ১৩ জন। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন জ্যোৎস্না অগ্রবাল, নান্টু পাল, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, এসজেডিএ’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক, জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি দুই জেলার জেলাশাসক, নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব।
আদালত সূত্রের খবর, এদিন পুলিশের তরফে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা কাণ্ডে অভিযুক্ত জেল হাজতে থাকা সুব্রত দত্তকে পুলিশে হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন জানানো হয়। আদালত অবশ্য তা মঞ্জুর করেনি। আজ, শনিবার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানোর পর আদালত সে ব্যাপারে মতামত জানাবে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, জেলে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে চাওয়া হয়েছিল। আদালত এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত এদিন জানায়নি।
|