ভোটে জেতা সিপিএম প্রার্থী ও তাঁর স্ত্রী-র উপরে এ বার হামলা করার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ক্যানিংয়ের জীবনতলার ওই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ না পেলেও, ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও সংঘর্ষ, হামলার ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন প্রান্তে।
কী ঘটেছে ক্যানিংয়ে? তাম্বুলদহ ২ পঞ্চায়েতের সিপিএমের ওই জয়ী প্রার্থীর দাবি, মনোনয়ন তোলার জন্য তাঁর উপরে চাপ ছিল। বাড়ি ছাড়া ছিলেন তিনি। ভোটে জিতে গ্রামে ফেরেন। সেই রাগেই তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী-র উপরে হামলা হয়। তাঁর কথায়, “প্রচারই করতে পারিনি। তা সত্ত্বেও মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন। সেই রাগে ওরা আমার বাড়িতে হামলা করল। স্ত্রী-র শ্লীলতাহানিও করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সওকত মোল্লা বলেন, “যারা এমন করেছে, তারা আমাদের দলের কেউ নয়। এ সব সমাজবিরোধীদের কাজ।” ওই রাতেই পাথরপ্রতিমার জি-প্লট পঞ্চায়েতের সত্যদাসপুরে সিপিএম-তৃণমূলের সর্ংঘষে চার সিপিএম সমর্থক জখম হয়ে পাথরপ্রতিমা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি।
বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামপুরের সুজালিতে তৃণমূলের সমর্থকদের উপরে গুলি চালানোয় অভিযুক্ত সিপিএম। জখম দুই তৃণমূল সমর্থক ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি। দলের আরও তিন সমর্থক প্রহৃত হয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। তিন জন গ্রেফতার। সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ মালদহের কালিয়াচক থানার করালিচাঁদপুর গ্রামে পরাজিত এক কংগ্রেস কর্মীকে মারার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সুদ্দিন শেখ নামে জখম ওই ব্যক্তিকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ মানেনি তৃণমূল। |