কলকাতার সরকারি হাসপাতালে নদিয়ার বগুলায় আক্রান্ত মহিলার চিকিৎসা শুরু হতেই পেরিয়ে গেল ২৪ ঘণ্টা। মাথায় আঘাত লাগা সত্ত্বেও শুক্রবার রাত পর্যন্ত তাঁর স্ক্যান করা হয়নি। তাঁকে দেখেননি কোনও নিউরো-সার্জনও। ফলে, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মহিলার আত্মীয়েরা।
হাঁসখালির বগুলার বাসিন্দা, বছর পঁয়তাল্লিশের ওই অবিবাহিত মহিলা স্থানীয় কলেজের শিক্ষাকর্মী। সিপিএমের নেত্রী বলেও এলাকায় পরিচিত। বুধবার রাতে বাড়িতে দুষ্কৃতীদের অস্ত্রের কোপে তিনি আহত হন। আততায়ীরা খুন করে তাঁর পরিচারিকার মেয়েকে। মহিলার কাছে রাতে মেয়েটি শুতে আসত। আহত মহিলাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ, প্রথম তিন ঘণ্টা তাঁকে বারান্দায় ফেলে রাখা হয়। পরে ‘ফিমেল হেড-ইনজুরি’ বিভাগের এক নম্বর ট্রলিতে রাখা হলেও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত চিকিৎসা শুরু হয়নি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নীলরতনে গিয়ে দেখা গেল, চোখ বন্ধ করে শুয়ে রয়েছেন তিনি। হাতে ওষুধের চ্যানেল লাগানো। কয়েক বার নাম ধরে ডাকার পরে চোখ মেলে জল চাইলেন। বুধবার রাতে কী ঘটেছিল জানতে চাওয়ায় অসংলগ্ন কিছু কথা বলে আবার চোখ বুজলেন। ডাক্তাররা জানান, বৃহস্পতিবার ভর্তি হওয়ার পরে প্রায় ২৪ ঘণ্টা তাঁকে ওষুধ দেওয়া যায়নি কারণ, তিনি চ্যানেল খুলে ফেলছিলেন। এ দিন একটু শান্ত হওয়ায় চ্যানেল লাগানো গিয়েছে। চিকিৎসকেরা মানছেন, “মাথার আঘাত গুরুতর।” তা হলে এত ক্ষণেও কোনও নিউরো-সার্জন কেন দেখতে এলেন না? কেনই বা মস্তিষ্কের স্ক্যান হল না? উত্তর দিতে পারেননি চিকিৎসকেরা।
হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের ধরার দাবিতে এ দিন বগুলায় মিছিল হয়েছে। পড়ুয়া থেকে শুরু করে সব দলের কর্মীরা মিছিলে পা মেলান। |