টুকরো খবর
মারধর, ভেড়ি লুঠ বসিরহাটে
তৃণমূল করার অপরাধে বুধবার দুই মহিলাকে মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। মিনাখাঁর সাহেবঘেরি এবং মল্লিকঘেরি গ্রামের ঘটনা। আহত আরতি দাস ও সাবিত্রী বরকে মিনাখাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে সন্দেশখালির মঠবাড়ি গ্রামে তিন সিপিএম কর্মীর মেছোভেড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম। গুলি ও বোমা ছোড়ার পাশাপাশি মেছোভেড়ির কয়েকজনকে মারধর করে লক্ষাধিক টাকার মাছও তারা লুঠ করে নিয়ে যায় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে সিপিএম। অন্য দিকে, একটি জমি নিয়ে দুই গ্রামবাসীর বিবাদকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে তেতে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির বাণেশ্বরপুর গ্রাম। এক গ্রামবাসী সিপিএম এবং অন্য জন তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় গোলমাল রাজনৈতিক রং নেয়। সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা পরস্পরের উপরে লাঠি, রড নিয়ে চড়াও হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ট্রলার থেকে পড়ে মৃত্যু মৎস্যজীবীর
ট্রলার থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোরে জম্বুদ্বীপ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বাসুদেব দাস (৬০)। বাড়ি কাকদ্বীপের হরিপুর গ্রামে। কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দর থেকে বুধবার ১২ জনের একটি দল গভীর সুমদ্রে মাছ ধরার জন্য ‘মায়ের আশীর্বাদ’ নামে একটি ট্রলারে রওনা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ট্রলারটির হাল এসে পড়ে বাসুদেববাবুর গায়ে। ধাক্কা সামলাতে না পেরে তিনি সমুদ্রে পড়ে যান। পরে অন্য মৎস্যজীবীরা জাল ফেলে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন।

ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার জগদ্দলের মোক্তার বাগান এলাকার ঘটনা। মৃতার নাম মেনকা ভারতী (১৯)। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তদন্তকারীরা জানান, ওই ছাত্রীর মোবাইলে তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর একটি এসএমএস রয়েছে দেখা গিয়েছে। তাতে ছাত্রীটির আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মেনকার পরিবারের অভিযোগ, ওই এসএমএস পেয়ে মেনকা আত্মঘাতী হন। যদিও ছাত্রীটির ওই বন্ধুর বিরুদ্ধে রাত পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিতঅভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান দেবাশিস বেজ বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এসএমএস-প্রেরককে গ্রেফতার করা হবে।”

থানার ঠাঁইবদল নিয়ে বিক্ষোভ
প্রস্তাবিত থানার জায়গা বদল নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দত্তপুকুর স্টেশনে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। আটকে রাখা হয় দত্তপুকুর ফাঁড়ির পুলিশকর্মীদের। পুলিশ জানায়, কামদুনিতে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনের পরে ঠিক হয়, বারাসত থানা ভেঙে দত্তপুকুর-সহ নতুন তিনটি থানা গড়া হবে। দত্তপুকুর ফাঁড়িকে থানায় রূপান্তরের কাজ শুরুও হয়ে যায়। লাগানো হয় নতুন থানার সাইনবোর্ড। কিন্তু পরে ঠিক হয়, দত্তপুকুরের বদলে থানা হবে ছোট জাগুলিয়ায়। ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা ফাঁড়ির মালপত্র সরাতে বাধা দেন। পুলিশ জানায়, প্রথমে দত্তপুকুর ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ হয়। পরে হয় রেল অবরোধ। পুলিশি সূত্রের খবর, দত্তপুকুরে পরিকাঠামোর অভাব থাকায় স্থান বদল করা হয়েছে।

একটি মামলায় জামিন সুদীপ্তের
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের জমি কেলেঙ্কারি মামলায় সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে বৃহস্পতিবার জামিন দিল আলিপুর আদালত। তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। অন্য মামলায় জামিন না-মেলায় আপাতত তাঁকে পুলিশি হেফাজতেই থাকতে হবে। অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে এ দিন তাঁর তরফে জামিনের আর্জি জানানো হয়। অন্তরা চক্রবর্তী নামে শ্যামবাজারের এক বাসিন্দা বিষ্ণুপুর এলাকায় জমি কিনবেন বলে বেহালায় সুদীপ্তের সংস্থা সারদা গার্ডেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অন্তরাদেবীর অভিযোগ, টাকা দিয়েও তিনি জমি পাননি। ২ মে এই বিষয়ে বেহালা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জমি কেলেঙ্কারির অন্য মামলায় সারদা-কর্ণধার এখন খড়্গপুরে। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা থাকায় এ দিন তাঁকে খড়্গপুরের আদালতে হাজির করানো হয়।

পুরনো খবর:
বরুণের দাদার নামে পরোয়ানা
ভাইয়ের হত্যা-মামলায় একাধিক বার তিনি সাক্ষ্য দিতে আসেননি। তাই নিহত বরুণ বিশ্বাসের দাদা অসিত বিশ্বাসের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল বনগাঁ আদালত। ১৭ জুন ওই মামলার শুনানি শুরু হয়। শুধু ৫ জুলাই-ই অসিতবাবু সাক্ষ্য দিতে যান। বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও যাননি। আইনজীবীর মাধ্যমে অসিতবাবু জানান, তিনি অসুস্থ। এর পরেই বনগাঁ আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক (ওয়ান) কোর্টের বিচারক তাপস দাস তাঁর নামে পরোয়ানা জারি করেন। সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, “পরবর্তী শুনানি ২ সেপ্টেম্বর। তার মধ্যে অসিতবাবুকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করাতে হবে। তাঁর সাক্ষ্যের দিনগুলিতে অসিতবাবু অফিসে গিয়েছিলেন কি না, সেই রিপোর্টও চেয়েছেন বিচারক।” বিমা সংস্থার কর্মী অসিতবাবু কলকাতার তিলজলায় থাকেন। তিনি বলেন, “কোমরের ব্যথায় শয্যাশায়ী। অফিসে গিয়ে সই করে চলে আসছি। পরোয়ানা কেন, বুঝলাম না।”

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.