|
|
|
|
কোর্টের পথে নৌকাবিহার, খুশি সারদা-কর্ণধার সুদীপ্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
জল থই থই রাস্তায় পাশাপাশি বেশ কয়েকটা নৌকো। স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াত করছেন। তারই মধ্যে একটি নৌকোয় ‘সারদা’র কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। প্রমোদ-ভ্রমণ নয়, জলমগ্ন ঘাটালে বুধবার নৌকোয় করেই আদালতে নিয়ে যাওয়া হল সুদীপ্তকে।
কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। মুকুটমণিপুরে কংসাবতীর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে ঘাটাল শহর সংলগ্ন ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের দু’নম্বর চাতালটি জলের তলায় চলে গিয়েছে। |
|
আদালতের পথে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন। বুধবার। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল |
ঘাটাল-মেদিনীপুর (ভায়া নাড়াজোল) সড়কেও জল দাঁড়িয়েছে। সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। নৌকোই একমাত্র ভরসা। এ দিন তাই আরামবাগ থেকে সুদীপ্তকে গাড়িতে আনা হলেও দু’নম্বর চাতাল পেরনোর সময় ওঠানো হয় নৌকোয়। প্রায় ২০০ মিটার পথ নৌকো করে এসে গাড়িতে ওঠেন সারদা-কর্তা। তার পর পৌঁছন ঘাটাল আদালতে। দেবযানী মুখোপাধ্যায় অসুস্থ থাকায় এ দিন তাঁকে আদালতে তোলা যায়নি। তবে সুদীপ্তর সঙ্গে নৌকোয় ছিলেন আর এক অভিযুক্ত অরবিন্দ চহ্বাণ।
নৌকোয় ভয় করল? সুদীপ্ত জবাব, “না, না। আমি তো সাঁতার জানি।” কেমন লাগল? ম্লান হেসে সুদীপ্ত বললেন, “এত দিন যেখানে গিয়েছি, গাড়িতেই গিয়েছে। নৌকোয় আসতে ভালই লাগল। ‘এনজয়’ করলাম।” নৌকোয় পুলিশকর্মীদের ঘেরাটোপে এক মুখ দাড়িতে সুদীপ্ত সেনকে এ দিন স্থানীয়দের কেউই চিনতে পারেননি।
সারদা-কাণ্ডের পর ঘাটাল ও চন্দ্রকোনা থানায় তছরুপ, প্রতারণা-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা করে পুলিশ। প্রতিটি মামলাতেই সারদার একাধিক এজেন্ট ও কর্মীর সঙ্গে মূল অভিযুক্ত হিসাবে সুদীপ্ত, দেবযানী, অরবিন্দ এবং মনোজ নাগেলের নাম ছিল। ঘাটাল থানার একটি মামলাতেই এ দিন সুদীপ্ত, অরবিন্দ ও মনোজকে ঘাটাল আদালতে তোলা হয়। ঘাটালের এসিজেএম রিনা তালুকদার তিন জনকেই ৫ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |
|
|
|
|
|