|
|
|
|
ট্রফি পাবে বাগান, শহরে পা দিয়েই হুঙ্কার ওডাফার
নিজস্ব সংবাদাদাতা • কলকাতা |
নতুন জার্সির প্রাক্তন সতীর্থ টোলগে ওজবেকে ‘শুভেচ্ছা’ জানিয়েও ওডাফা ওকোলি বলে দিলেন, “পারফরম্যান্সই কিন্তু শেষ কথা বলবে। এ বার আমরা অনেক ট্রফি পাব।”
বৃহস্পতিবার সকালেই শহরে পৌঁছে গেলেন মোহনবাগান অধিনায়ক। একই রকম ছিপছিপে রেখেছেন নিজেকে। নিজেই বললেন, “ছুটিতে কিন্তু আমি ঘুরে বেড়াইনি। নাইজিরিয়ায় নিয়মিত অনুশীলন করেছি। আপনারাই দেখুন, আমার মেদ জমেছে কি না! আমি কিন্তু পুরো ফিট।” এ ভাবেই তাঁর দেরিতে আসা নিয়ে ওঠা তীব্র বিতর্ক থামিয়ে দিলেন মাঠে নামার আগেই। সঙ্গে সংযোজন করলেন, “আমার সঙ্গে কোচের যোগাযোগ ছিল। অনুশীলনে দেরিতে যোগ দিলেও আমি দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। দেখে নেবেন।”
|
ওডাফার সপরিবার আবির্ভাব। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
টোলগে-পেন এ বার মহমেডানে। চিডি-মোগা যুগলবন্দির সঙ্গে সুয়োকা ইস্টবেঙ্গলে। আর বাগানে আপনার সঙ্গে তো কাতসুমি। সাফল্য পাবে কোন জুটি? কোনও রকম বিতর্কে না গিয়ে রসিকতার ভঙ্গিতে ওডাফা বললেন, “মাঠের নব্বই মিনিটের লড়াইয়ের পরই কিন্তু জবাবটা পাওয়া যাবে। আমি তৈরি। সত্যিই ময়দানের লড়াই এ বার আরও কঠিন হবে।” পরের মুহূর্তেই আবার অধিনায়কের মতোই বলে দিলেন, “কাতসুমির খেলা দেখেছি। ও ভাল ফুটবলার। ওর সঙ্গে আমার জুটিটা কিন্তু জমে যাবে।”
পুরো পরিবার নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এলেও আজ শুক্রবার অনুশীলনে নামছেন না ওডাফা। সকালে নিজেদের মাঠে অনুশীলন ম্যাচ খেলবে করিম বেঞ্চারিফার টিম। বিকেলে যুবভারতীতে অনুশীলন রয়েছে।
গত বছর অনেক বিতর্ক ও চাপের পর আই লিগের অবনমন বাঁচিয়েছিল মোহনবাগান। এ বার অবশ্য নাইজিরিয়ান গোলমেশিন মনে করছেন বাগানে ফুল ফুটবে। “গত বছর আমরা অবনমন বাঁচাতে যে লড়াইটা করেছিলাম, এ বার শুরু থেকে সেই মনোভাব নিয়ে খেলতে পারলে ট্রফি আসবেই।”
আবাসিক শিবিরের পরিকাঠামো দেখতে এ দিন সহকারী কোচ মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্গাপুরে পাঠিয়েছিলেন করিম। শিবিরের জন্য করিমের তালিকায় রয়েছে কল্যাণী এবং বারাসতও। গোলকিপার কোচ অর্পণ দে বৃহস্পতিবার সন্দীপ-শিল্টনদের নিয়ে কাজ শুরু করে দিলেন।
|
পুরনো খবর: অবশেষে শহরে ওডাফা আসছেন
|
|
|
|
|
|