|
|
|
|
খড়্গপুর বাসস্ট্যান্ড |
রেলের শর্তে থমকে কাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
এতদিন টানাপোড়েন ছিল টাকা বরাদ্দ নিয়ে। রেল, পুরসভা না রাজ্য সরকার, কে টাকা দেবে তা নিয়ে তরজা চলছিল। কোনও পক্ষই অর্থ দিতে রাজি হয়নি। শুধু বৈঠক হয়েছে। ফলে, খড়্গপুর বাসস্ট্যান্ডের হাল ফেরেনি।
শেষমেশ টাকার জট কেটেছে। বাসস্ট্যান্ডের হাল ফেরাতে সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডা। রেলও ‘নো অবজেকশন’ শংসাপত্র দিয়েছে। তাতেও জটিলতা কাটছে না। কারণ রেল বলেছে, শুধু মাটির উপরে কাজ করা যাবে। বাস স্ট্যান্ডের পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হলে তো শুধু মাটির উপরে কাজ করলে চলে না। সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডা বলেন, “কেবলমাত্র মাটির উপরিতলকে কংক্রিট করলেই তো বাসস্ট্যান্ডের প্রকৃত উন্নয়ন হয় না। আরও অনেক কাজ থাকে। তার জন্য রেলের দেওয়া শংসাপত্র যথেষ্ট নয়। বিষয়টি আমি রেলমন্ত্রী ও রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।” দক্ষিণ-পূর্ব রেলে খড়্গপুরের বিদায়ী ডিআরএম রাজীবকুমার কুলশ্রেষ্ঠ বলেছিলেন, “আমরা নিয়ম মেনে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছি।” তবে নতুন ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
রেলশহরের বাসিন্দারা অবশ্য ক্ষুব্ধ। ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। খড়্গপুর চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক রাজা রায় বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়নের দাবি কছি। |
|
জল-কাদায় মাখামাখি। —নিজস্ব চিত্র। |
বারবার রেলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। বেহাল বাসস্ট্যান্ডে সন্ধের পর অসামাজিক কাজকর্ম চলে। ফলে বহু মানুষ খড়্গপুরে আসতে ভয় পান। ব্যবসারও ক্ষতি হয়।” খড়্গপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত ঘোষ, শিবাজি রায়দের কথায়, “সামান্য বৃষ্টি হলেই জল থই থই অবস্থা। যাতায়াতই করা যায় না।”
অথচ এই বাসস্ট্যান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দিঘা, হলদিয়া, কলকাতা, কেশিয়াড়ি, নয়াগ্রাম-সহ একাধিক রুটের বাস চলাচল করে। বহু মানুষের সমাগর হয়। তা সত্ত্বেও বাসস্ট্যান্ডেও না রয়েছে পানীয় জলের ব্যবস্থা, না প্রতীক্ষালয়। বৃষ্টি হলে ভেজা ছাড়া উপায় নেই। সুষ্ঠু নিকাশি না থাকায় জমা জলও সরে না। বাসস্ট্যান্ডের জায়গাটি রেলের। তবে রেল-কর্তৃপক্ষ বাসস্ট্যান্ডের দায়িত্ব নিতে চান না। রেলের জমি হওয়ায় পুরসভা বা প্রশাসনও কাজ করতে নারাজ। বহু বৈঠকেও এই জট কাটেনি। কখনও পুরসভা জমি লিজ চেয়েছে, যাতে বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়ন করে আয় বাড়াতে পারে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি রেল। অবশেষে সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য চেয়ে আবেদন জানানো হয়। টাকা বরাদ্দ হওয়ার পর পূর্ত দফতরের মাধ্যমে কাজ করানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে তার আগে জরুরি ছিল রেলের ‘নো অবকেশন’ শংসাপত্র।
সম্প্রতি রেল শংসাপত্র দিয়েছে। তাতে তৈরি হয়েছে নতুন জটিলতা। সাংসদ অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। তাঁর বক্তব্য, “বিষয়টি রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছি। আশা করি, বাসস্ট্যান্ডের গুরুত্ব বুঝে তিনি প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো পদক্ষেপ করবেন।” |
পুরনো খবর: ধুঁকছে খড়্গপুর বাসস্ট্যান্ড |
|
|
|
|
|