|
|
|
|
অশান্ত ডেবরা, নারায়ণগড় |
ভোট শেষেও জেলা জুড়ে চলছে সংঘর্ষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভোটপর্ব মিটেছে। তবে সংঘর্ষে দাঁড়ি পড়ছে না। বুধবার রাতে নারায়ণগড়ের পাকুড়সিনি, ডেবরার নন্দবাড়ি থেকে শালবনির সিজুয়া, বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি ছড়ায়। জেলা পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ওই সব এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে অশান্তি শুরু হয় নারায়ণগড়ের পাকুড়সিনির তেঁতুলিয়া ভূমজানে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপর্ব শুরুর পর থেকে এখানে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় বাম-তৃণমূলের লোকজন। বুধবারও একই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী হয়েছেন সিপিআইয়ের বিলাসিনি সরেন। অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের লোকজন বাম কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায়। চারটি বাড়ির ভাঙচুর হয়। সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণার কথায়, “ভোটের পরও সন্ত্রাস চলছে। তৃণমূলের লোকজন হামলা চালাচ্ছে।” তৃণমূল অবশ্য হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ বলেন, “একটা ঘটনা ঘটেছে। তবে ওটা স্থানীয়দের মধ্যে বিবাদ। তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। আমাদের দলের কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।”
শালবনির সিজুয়ায় আবার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে। এখানে যৌথ বাহিনীর ক্যাম্প রয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, বুধবার সন্ধ্যায় এলাকায় বিজয় মিছিল বেরিয়েছিল। তাতে পটকা ফাটে। তখন স্থানীয় সিপিএম নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পে গিয়ে ‘মিথ্যে’ নালিশ জানান। তারপরই ক্যাম্প থেকে সিআরপি জওয়ানরা এসে দলের কর্মী-সমর্থকদের উপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করে। ১৬ জন জখম হন। ৮ জনকে শালবনি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তৃণমূলের শালবনি ব্লক সভাপতি নেপাল সিংহ বলেন, “সিআরপি নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে। মিছিল থেকে কয়েকজন পটকা ফাটিয়ে ছিল। স্থানীয় সিপিএম নেতা-কর্মীরা তখনই ক্যাম্পে চলে যায়। মিথ্যে খবর দেয়। সিআরপির জওয়ানরা সমস্ত দিক খতিয়ে না-দেখে লাঠিচার্জ শুরু করে।” পুলিশ অবশ্য এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, এমন ঘটনা নিয়ে লিখিত কোনও অভিযোগই জমা পড়েনি।
বুধবার রাতেই সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ বাধে ডেবরার নন্দবাড়িতে। কয়েকজন জখম হন। তৃণমূলের দাবি, সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করে। কর্মী- সমর্থকদের মারধর করে। সিপিএমের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের লোকজনই সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। ওই এলাকা থেকে জয়ী দলের জেলা পরিষদ প্রার্থী বিবেক মুখোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচনে হেরেও সন্ত্রাস করছে সিপিএম।” সিপিএমের ডেবরা জোনাল সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডলের যদিও প্রশ্ন, “ওখানে শাসক দলের কি অফিস ছিল?” সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “প্রথমে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। পরে কয়েকজন মহিলা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন।”
|
গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
গাড়ি থামিয়ে ২০ লক্ষ টাকা ছিনতাই হ খড়্গপুর লোকাল থানার চৌরঙ্গির কাছে, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। অভিযোগ, দুই যুবক গাড়ি দাঁড় থামিয়ে বন্দুক দেখিয়ে ছিনিয়ে নেয় টাকা। খড়্গপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।” ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া ১০টা নাগাদ। গাড়িতে ছিলেন খড়্গপুর ওল্ড মালঞ্চ এলাকার ব্যবসায়ী শ্রাবণ রায় ও তাঁর এক বন্ধু। ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে মেদিনীপুরে আসার কথা ছিল তাঁদের। সাহাচক থেকে চৌরঙ্গি আসার পথে একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। তার কাছেই ঘটনাটি ঘটে। তবে এ দিন রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই ব্যবসায়ী যে গাড়িতে চেপে টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে যাচ্ছেন। সে খবর আগে থেকেই জানত দুষ্কৃতীরা। সেই মতো ওঁত পেতে বসেছিল। ছিনতাইকারীদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|