|
|
|
|
কার্বিল্যান্ড, বড়োল্যান্ড, কামতাপুর গঠনের দাবি |
পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত গোটা উত্তর-পূর্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পৃথক কার্বিরাজ্য, বড়োল্যান্ড এবং কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবিতে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্য।
গতকাল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কার্বি আংলং-এ এক ছাত্রের মৃত্যুর পরও অশান্তি কমেনি। আজও বিক্ষোভকারীদের রুখতে গুলি চালায় পুলিশ। অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয় সর্বত্র পরিস্থিতি এক।
ডিফুতে গতকালের খণ্ডযুদ্ধে জখম কলেজ ছাত্র রাহুল সিংঘা হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। তাঁকে শহিদ বলে ঘোষণা করেছে কার্বি ছাত্র সংগঠন। তাদের অভিযোগ, পুলিশের মাধরেই রাহুলের মৃত্যু হয়েছে। স্বায়ত্ত্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জয়রাম এংলেং বলেন, “কার্বিরাজ্য আমাদের স্বপ্ন। আগামীকালই এই দাবি নিয়ে দিল্লিতে যাবে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। এর জন্য হিংসার পথ যুক্তিসঙ্গত নয়।”
পুলিশ সূত্রের খবর, আজ ডিফুতে কার্ফু উপেক্ষা করে মিছিল করেন কংগ্রেস বিরোধীরা। সাহিত্য সভা ভবনে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে উন্মত্ত জনতা। ডিফু থেকে নীলালং অবধি ব্রডগেজ লাইন উপড়ে ফেলার চেষ্টাও হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগে ১০০ মিটার লাইনও উপড়ে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে তিনজন জখম হয়েছে। ডকমকার ডেনগাঁওতে পুতর্ভবনে আগুন লাগানো হয়। মাটিপুং সংরক্ষিত অরণ্যের কাছে জনতার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তাবাহিনীর। |
|
পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে “অল কোচ রাজবংশী স্টুডেন্টস ইউনিয়ন”-এর বিক্ষোভে
আগুন জ্বলল বঙ্গাইগাঁও-সহ অসমের বিভিন্ন প্রান্তে। বৃহস্পতিবার উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি। |
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত সেনা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, ঝামেলায় মদত দিচ্ছে সমাজবিরোধী ও সন্ত্রাসবাদীরাও। প্রাক্তন জঙ্গিনেতা ওয়াজুরু মুকারাং বলেন, “আমরা পূর্ণরাজ্যের দাবি নিয়েই সংঘর্ষবিরতি করেছিলাম। সে জন্য ৫ অগস্ট থেকে ১০০ ঘণ্টা বন্ধ ডাকা হয়েছে।” এনডিএফবি (আলোচনাপন্থী) এবং বড়োল্যান্ড দাবি আদায়ের যৌথ মঞ্চ সাংবাদিক সম্মেলনে জানায়, জেলাশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৃথক রাজ্য চেয়ে স্মারকলিপি পাঠানো হবে। ৫ অগস্ট থেকে ৬০ ঘণ্টা অসম বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ১৩ অগস্ট থেকে হবে ১০০ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ। ২০ অগস্ট দিল্লির যন্তরমন্তরে অনশন বিক্ষোভ চলবে। এ সবেও কাজ না হলে শুরু হবে ১০০০ ঘণ্টার অর্থনৈতিক অবরোধ। যৌথ মঞ্চের পক্ষে ভ্রমণ বাগলারি বলেন, “আন্দোলন চললে তা ভাঙার চেষ্টা করা হবে। সে ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক আন্দোলনও হিংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে। যার সম্পূর্ণ দায় হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের।” পৃথক কামতাপুরের দাবিতে ‘অল কোচ রাজবংশী স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আক্রাসু) নামনি অসমে ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ ডেকেছিল। তার জেরে বিক্ষোভ ছড়ায় বঙ্গাইগাঁও-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়।
নাগাল্যান্ডেও বৃহত্তর নাগালিমের দাবি জোরদার হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও। মুখ্যমন্ত্রীর মত, নাগা অধ্যুষিত এলাকাগুলিকে একত্রিত করে বৃহত্তর নাগালিম গড়লে ছয় দশকের নাগা সমস্যার সমাধান সম্ভব। মেঘালয়েও পৃথক গারো, জয়ন্তিয়া রাজ্যের দাবি উঠেছে। মণিপুরের কুকি জঙ্গি ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি দাবি করেছে, অবিলম্বে কুকি রাজ্যের বিষয়ে কেন্দ্রকে সম্মতি দিতে হবে।
|
পুরনো খবর: কার্বিল্যান্ড রাজ্য চাই, রণক্ষেত্র কার্বি আংলং |
|
|
|
|
|