|
|
|
|
কার্বিল্যান্ড রাজ্য চাই, রণক্ষেত্র কার্বি আংলং |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পৃথক রাজ্যের দাবির আন্দোলনকে ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র হল কার্বি আংলং-এর দিফু। লোকসভা সাংসদের বাড়িতে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পোড়ানো হয় অনেক গাড়ি। পরিস্থিতি সামলাতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। অশান্তির জেরে কয়েক জন জখম হয়। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে।
আজই দিল্লিতে বড়োল্যান্ডের দাবি নিয়ে বড়োভূমির বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পৃথক কার্বিভূমির দাবি নিয়ে বহু দিন ধরেই কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন কার্বি আংলং-এ সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বর্তমানে ইউপিডিএস, কেএনএলএনএফ সংগঠন সংঘর্ষ বিরতিতে রয়েছে। তবে, সক্রিয় কেপিএলটি। ‘স্বশাসিত স্বরাজ’-এর দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে কার্বি ছাত্র সংগঠন, কার্বি নিমসৌ চিংথুর আসং, কার্বি ল্যামেট আমাই। |
|
দিফুতে ক্ষোভের আগুন। ছবি: এপি |
পুলিশ জানায়, আজ সকালে স্বশাসিত কার্বি রাজ্যের দাবিতে হাজার দশেক মানুষ দিফুর রাজপথে নামে। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে তারা। আচমকা সাংসদ বীরেনসিংহ ইংতির বাড়ির দিকে রওনা দেয় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বাধা দেওয়ার আগেই ইংতির বাড়ির প্রবেশপথে ভাঙচুর করা হয়। কার্বি স্বায়ত্তশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জয়রাম এংলেং-এর বাড়িতেও হামলা হয়। তত ক্ষণে আন্দোলনকারীরা মারমুখী
হয়ে উঠেছে। রাস্তায় প্রচুর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। লাঠি চালায় পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট। এরপরই শূন্যে গুলি চালানো হয়। দিফুতে কার্ফু ও সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে। চাওয়া হয়েছে সেনার সাহায্য।
রাজ্যে কংগ্রেসের শরিক বিপিএফ দলের সভাপতি তথা বড়োল্যান্ড স্বায়ত্বশাসিত পরিষদের প্রধান হাগ্রামা মহিলারি আজই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্দের সঙ্গে দেখা করে বড়োল্যান্ড গঠনের দাবি জানান। তিনি বলেন, “অবিলম্বে সংসদে পৃথক বড়োল্যান্ড গঠনের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করা হোক। কেন্দ্র আগ্রহ না দেখালে বড়োভূমিতে বিরাট গণ-আন্দোলন শুরু হবে।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ অসম বিভাজনের বিপক্ষে। তিনি বলেন, “অসমের সমস্যার সঙ্গে অন্ধ্রের সমস্যার মিল নেই।” পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবি নিয়ে যৌথ আন্দোলন শুরুর জন্য এনডিএফবি (আলোচনাপন্থী) ও বড়োল্যান্ড যৌথ মঞ্চ বৈঠক করেছে। |
|
|
|
|
|