|
|
|
|
জেএনইউ-র ক্লাসরুমে |
সহপাঠিনীকে কুপিয়ে আত্মঘাতী ছাত্র |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ক্লাসরুমেই ঝগড়া বেধেছিল সহপাঠিনীর সঙ্গে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ভাষা ভবনের ঘরটিতে তখন হাতেগোনা কিছু পড়ুয়া। কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি। শেষে মেয়েটিকে চপার দিয়ে কুপিয়ে আত্মঘাতী হলেন ছাত্র। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি।
বেলা ১১টা হবে। ভাষা ভবনের ২১৩ নম্বর ঘরটাতে ঢোকেন আকাশ। আগের ক্লাস শেষ হয়ে গিয়েছে। পরেরটা শুরু হতেও খানিক দেরি। দুই ক্লাসের মাঝপথে জায়গাটা তখন বেশ ফাঁকা ফাঁকা। ঘরে ঢুকেই বছর বাইশের রোশনীর উপর চেঁচাতে শুরু করেন আকাশ। তাঁর সঙ্গে বেরোতে বলেন মেয়েটিকে। রাজি হননি রোশনী। এর পরেই ভয়াবহ মূর্তি ধারণ করেন আকাশ। তৈরি হয়েই এসেছিলেন তিনি। ব্যাগে করে এনেছিলেন একটা দেশি পিস্তল, চপার, একখানা ছুরি আবার ইঁদুর মারার বিষও। প্রথমে রোশনীকে গুলি মারার চেষ্টা করেন আকাশ। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক, পারেননি। এর পর নিজেই বিষ খেয়ে নেন। ব্যাগ থেকে চপারটা বের করে কোপাতে শুরু করেন রোশনীকে। বার পাঁচেক কোপানোর পর ক্ষান্ত হন আকাশ।
এখানেই শেষ নয়। কী ঘটছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত পড়ুয়ারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছুরি বের করে নিজের গলায় চালিয়ে দেন আকাশ। রক্তে তখন ভেসে যাচ্ছে জায়গাটা। তার মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন আকাশ ও রোশনী। আকাশের এক সহপাঠী আবার জানালেন, “ও খুব মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পিস্তলটা বার করে আমাদের শাসাতে শুরু করে, ঘরে ঢুকলেই চালিয়ে দেবে। কিছুতেই ঢুকতে দিল না আমাদের। শেষে কোনও মতে যখন ঢুকতে পারলাম, ও গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়েছে।” এইমসে নিয়ে যাওয়া হয় আকাশকে। ঘণ্টাখানেক পরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। সফদরজঙ্গ হাসপাতালে রোশনী অবশ্য এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ওঁর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক ছাত্র জানিয়েছেন, আকাশ ও রোশনী দু’জনেই বিহারের বাসিন্দা। দু’জনেই একই ক্লাসে পড়তেন। গত দু’বছর ধরে রোশনীকে ক্রমাগত বিরক্ত করছিলেন তিনি। এক অধ্যাপিকা কমলা মিত্র চেনয় বলেছেন, মেয়েটির দিক থেকে সে ভাবে সাড়া না পেয়েই আকাশ এ কাজ করেছেন। একই কথা বলেছে পুলিশও “এক তরফা প্রেমের জেরেই এই ঘটনা।” চার পাতার একটি নোটও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার
করেছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|