|
|
|
|
উত্তর-পূর্বে নাশকতার ছক |
গারো জঙ্গিদের সঙ্গে জোট আলফার, আশঙ্কা পুলিশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
উত্তর-পূর্বে নাশকতা ছড়াতে গারো জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আলফা (স্বাধীন)---এমনই আশঙ্কা অসম, মেঘালয়ের পুলিশ-প্রশাসনের।
পুলিশের দাবি, জিএনএলএ জঙ্গিরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র সহজে চালাতে পারলেও, বিস্ফোরক ব্যবহারে তেমন দক্ষ নয়। ওই সংগঠনের সদস্যদের বিস্ফোরকের প্রশিক্ষণ এবং ডিমাপুর হয়ে অস্ত্র-আমদানির বিনিময়ে নামনি অসমের লাগোয়া গারো পাহাড়ে জিএনএলএ শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে আলফা জঙ্গিরা। শিলং-এ বিদায়ী বিএসএফ আইজি সুদেশ কুমার জানিয়েছেন, আলফা-র ১০৯ ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডার দৃষ্টি রাজখোয়া ওরফে মোহন রাভা প্রতিহেশি দু’টি রাষ্ট্র থেকে বিস্ফোরক, অস্ত্র লেনদেন করছেন।
নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রের খবর, গতকাল বিকেলে পশ্চিম গারো পাহাড়ের রংকুগ্রে এলাকার জঙ্গলে জিএনএলএ-র একটি বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই হয়। সংঘর্ষে আলফা সংগঠনের এক বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আলফা এবং জিএনএলএ সংগঠনের মধ্যে যোগসাজসের প্রণাম মিলেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল, একটি আরডিএক্স ব্যবহার করে নির্মিত আইইডি পাওয়া গিয়েছে।
আলফা-র (স্বাধীন) লেফটেন্যান্ট অরুণোদয় অসম আনন্দবাজারকে ই-মেলে জানান, নিহত জঙ্গি তাদের বাহিনীরই সদস্য। তার নাম সঞ্জিত রাভা। বাড়ি উদালগুড়ি জেলার উত্তরনগরে।
২৮ জুলাই রাতে পল্টনবাজারে পরেশ বরুয়ার ডান-হাত দৃষ্টি রাজখোয়া বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন অসম পুলিশের ডিজি। মেঘালয় সীমান্তের কাছে আলফা ঘাঁটিতে কয়েকবার হানা দিয়েও দৃষ্টিকে ধরতে পারেনি নিরাপত্তবাহিনী।
পল্টনবাজারের ওই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত শুরু পর জানা যায়, ঘটনাস্থলে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। থানার ক্লোজ্ড-সার্কিট ক্যামেরা থেকে সূত্র খুঁজে পাওয়ার আশা করেছিল পুলিশ। তবে ডিজি জয়ন্তনারায়ণ চৌধুরি জানিয়েছেন, তার কেটে যাওয়ায় ওই ক্যামেরাটিও কিছুদিন ধরেই অচল ছিল।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পুলিশের আধুনিকীকরণ এবং শহরের নিরাপত্তার জন্য প্রচুর টাকা খরচ করা হলেও, সুরক্ষার এই ঢিলেঢালা পরিস্থিতি প্রকাশ্যে আসায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের বক্তব্য, শহরের অন্য এলাকাগুলিতে যে সব ক্যামেরা বসোনা হয়েছে সে গুলির ছবি স্পষ্ট নয়। ডিজি জানিয়েছেন, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শহরজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারির বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারহীন (ওয়্যারলেস) ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিভাগের শূন্য পদ-পূরণ, টহলদার গাড়ি কেনা, রাস্তায় আরও আলোর বিষয়েও দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সূত্রে খবর, গত ১২ বছরে পুলিশের আধুনিকীকরণ খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে ৬০০ কোটি টাকা পেয়েছে অসম। কিন্তু তার মধ্যে ৫০ কোটি টাকাও খরচ হয়নি।
পল্টনবাজারে বিস্ফোরণে জখম তিনজন এখনও গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। |
|
|
|
|
|