|
|
|
|
শত্রুঘ্ন মূল্যহীন দিগ্বিজয়ের মতো, বলছেন উমা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা ও নয়াদিল্লি |
শত্রুঘ্ন সিন্হাকে এ বার শত্রু পক্ষের মুখপাত্রের সঙ্গে এক সারিতে দাঁড় করয়ে দিল দল।
ক’দিন আগেই নরেন্দ্র মোদীর পরোক্ষ বিরোধিতা করে তিনি তারিফ করেছেন লালকৃষ্ণ আডবাণীর। বিহার শরিফের এই বিজেপি সাংসদ এখন আবার উচ্ছ্বসিত নীতীশ কুমারের প্রশংসায়। রাজ্য বিজেপি-র নেতারা মনে করছেন, লক্ষ্মণরেখা পেরিয়ে গিয়েছেন শত্রুঘ্ন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন তাঁরা। দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ভাল চোখে দেখছেন না বিষয়টিকে।
সংসদীয় বোর্ডের আগামী বৈঠকে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে শত্রুঘ্নের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, দল তা খতিয়ে দেখবে। তবে নীতীশের টোপের দিকে পা বাড়িয়ে রাখা শত্রুঘ্নকে ‘খামোশ’ রাখার জন্য খামোখা কোমর বেঁধে নামতেও রাজি নয় দল। বরং উপেক্ষাই তার প্রাপ্য শাস্তি বলে মনে করছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতারা। আর সে কথাটা জানাতে গিয়েই দলের তরফে উমা ভারতী আজ মন্তব্য করেন, “বিজেপি-তে শত্রুঘ্ন সিন্হা আর কংগ্রেসে দিগ্বিজয় সিংহ কখন কী বলেন, তাতে কিছু যায় আসে না।” দলের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি-র অগ্নিকন্যা উমা ভারতী এ-ও ঘোষণা করেন যে, “শত্রুঘ্ন সিন্হার কোনও গুরুত্বই নেই। তাঁর প্রশংসা বা নিন্দারও কোনও মূল্য নেই। তাঁকে যত উপেক্ষা করা যায়, সেটাই তাঁর সাজা।” শত্রুঘ্নর মতোই উমা ভারতীও কিন্তু ক’দিন আগে জয়ধ্বনি করেছেন আডবাণীর। বিরোধিতা করেছেন মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার। এখন উমাকে দিয়েই এমন আক্রমণ শানানোর কারণ, শত্রুঘ্ন এ বারে সুর চড়িয়ে বিজেপি-বিরোধী শিবিরের গান গাইতে শুরু করেছেন। সেটার কারণও অস্পষ্ট নয় বিজেপি নেতাদের কাছে। |
|
রাজ্য বিজেপি-র এক নেতার কথায়, “শত্রুঘ্ন আর বিহার শরিফ থেকে লোকসভা ভোটে লড়তে রাজি নন। এলাকাতেও যান না তিনি। এলাকার মানুষ যে তাঁর উপরে মানুষ রুষ্ট, তা-ও জানেন। এখন তাই নীতীশের হাত ধরে রাজ্যসভায় যেতে চান।”
নীতীশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিহার বিজেপি-র সহসভাপতি এবং বর্ষীয়ান নেতা সি পি ঠাকুরও বলেন, “তিনি বিজেপি নেতাদের কাউকে বিধান পরিষদ বা রাজ্যসভার সদস্য করে দেওয়ার ললিপপ দেখাচ্ছেন। নীতীশ এখন এই খেলায় মেতেছেন।” যে খেলার আঁচ মিলেছে রামকিশোর সিংহের দলত্যাগেও।
নীতীশকে ‘বিকাশপুরুষ’ আখ্যা দেওয়া এই নেতাকে গত কালই রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে শো-কজ করা হয়েছিল। আজ তিনি রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন। জেডিইউ-এ যোগ দিচ্ছেন কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিহারের সকলকে নিয়ে যিনি চলতে পারবেন, তাঁর সঙ্গে থাকব।” সন্দেহ নেই ইঙ্গিতটা নীতীশের দিকেই। বিজেপি নেতারা বলছেন, বিধান পরিষদের ১২টি আসন খালি পড়ে আছে। এগুলিকে দেখিয়ে বিজেপি নেতাদের টোপ দিচ্ছেন নীতীশ।
|
পুরনো খবর: নীতীশের প্রশংসায় শত্রুঘ্ন, দলীয় মুখপাত্রকে শোকজ |
|
|
|
|
|