কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিল আলিপুরদুয়ারের পলাশতলি গ্রামের বাসিন্দারা। বুধবার সকালে কৃষ্ণ বর্মন নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে ধরে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেন গ্রামবাসীরা। খূবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছলে পুলিশকে ঘিরে ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বাসিন্দারা। গত ১৩ জুন কংগ্রেস নেতা সূর্যমোহন দেবনাথকে খুন করার অভিযোগ ওঠে সিপিএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বুধবার কৃষ্ণ বর্মন নামে যে ব্যক্তিকে গ্রামবাসী ধরে রাখে তিনি বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার উরিপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।
তবে গত দেড় বছর ধরে ওই ব্যক্তি পলাশতলি গ্রামে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা সূর্যমোহনবাবুর খুনের ঘটনার পর থেকে ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানা গিয়েছে। এদিন তাকে গ্রামের কাছে ঘোরাফেরা করতে দেখে গ্রামবাসী তাকে ধরে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া এদিন বলেন, “কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনায় ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজা হচ্ছে। কৃষ্ণ বর্মন নামে ধৃত ব্যক্তি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।”
গত ১৩ জুন রাতে পূর্ব বড়চৌকি গ্রামে সিপিএম থেকে কংগ্রেসে যোগদানকে কেন্দ্র করে এলাকার কংগ্রেস নেতা সূর্যমোহন দেবনাথকে খুনের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় ২৯ জন সিপিএম কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার বলেন, “অভিযুক্তদের ঘুরতে দেখলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। গ্রামবাসীরা এক অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।” সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক রূপধন রায় বলেন, “খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। কংগ্রেস মিথ্যে অভিযোগ করছে।”
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.