নিজস্ব সংবাদদাতা • ধূপগুড়ি |
শ্লীলতাহানির চেষ্টা-সহ এক যুবতীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝোরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোঁসাইহাট গ্রামে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই যুবতী কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে প্রথমে তাঁকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকে পরে তাঁকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তৃণমূলের অভিযোগ, ওই যুবতী তাঁদের সমর্থক। এলাকার একটি আসন জয়লাভের পরে সিপিএমের লোকজন ওই যুবতীকে মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির সামনে কটূক্তি করে। তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। লোকলজ্জায় ওই যুবতী গভীর রাতে বাড়িতে রাখা জমির কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁর পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান।
ওই ঘটনায় যুবতীর মা বুধবার ধূপগুড়ি থানায় ছয় জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা সকলে সিপিএমের সমর্থক বলে তৃণমূলের দাবি। যুবতীর মায়ের কথায়, “মেয়ে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর সেই রাগেই এলাকার ছয়জন ওঁর শ্লীলতাহানি করেন। পরে মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।” ধূপগুড়ি থানার আইসি যুগল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “অভিযোগ জমা পড়েছে। পুরো ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা গুড্ডু সিংহ বলেন, “নির্বাচনের পর গ্রামেগঞ্জে সন্ত্রাস চালাচ্ছে সিপিএম। ওই যুবতীকে উত্ত্যক্ত করার পাশাপাশি শ্লীলতাহনির চেষ্টা করা হয়। ছয় জন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছি।” যদিও সিপিএমের নেতৃত্ব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, এলাকার এক যুবকের সঙ্গে ওই যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। যুবকটি বিয়ে করতে অস্বীকার করায় তিনি কীটনাশক খান। সিপিএম নেতা সঞ্জিৎ দে বলেন, “একটি ব্যক্তিগত বিষয়কে কেন্দ্র করে আমাদের দলের নাম জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। ওই পরিবাররের লোকজনকে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা মিথ্যা বলাচ্ছেন। ঠিক মতো তদন্ত করা হলে সব বার হয়ে আসবে।” |