বিড়ি চাওয়া নিয়ে গোলমালের জেরে এক মহিলাকে ছুরি মেরে খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল আদালত। বুধবার অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সৌম্যজিৎ রায় ওই রায় দেন। প্রায় ২ বছর বিচার চলার পরে এ দিন ওই মামলার রায় ঘোষণা হল। সোমবার ২১ জনের সাক্ষ্যর ভিত্তিতে অভিযুক্ত সিকন্দর ছেত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী অনিন্দিতা গুহ বলেন, “প্রায় দু’বছর ধরে ওই মামলা চলছিল। আজ সাজা ঘোষণা হয়েছে। অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিচারক যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। ওই অর্থ আনাদায়ে আরও ৩ মাসের জেল খাটতে হবে।”
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে ১৬ জুলাই বিধাননগর এলাকার শহিদাবাদ চা বাগানের বাসিন্দা শিলো মিন্জ (৪৮) কে ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে খুন করেন ওই চা বাগানেরই বাসিন্দা সিকন্দর ছেত্রী। ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ স্থানীয় হাট থেকে জিনিসপত্র কিনে ফিরছিলেন শিলো মিন্জ। পথে বাগানের শ্রমিক কলোনির বাসিন্দা সিকন্দরের সঙ্গে তার দেখা হয়। সে সময় সিকন্দর বিড়ি চাইলে তা নিয়ে বচসা বাঁধে। আচমকা বাগানের কলম কাটার ছুরি দিয়ে শিলো দেবীর পেটে, গলায়, মাথায় এলোপাথারি আঘাত করে সিকন্দর। এরপরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিলো দেবী। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে বিধানগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্য দিকে বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে সিকন্দর পালিয়ে বাগানের ম্যানেজারের ঘরে ঢুকে পড়েন। সেখানে সহকারি ম্যানেজার-সহ ৬ জন ছিলেন। হাতের ছুরি উচিয়ে ধরে তাঁদেরকে সিকন্দর জানায় তিনি খুন করে এসেছেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হোক। পরে বিধাননগর ফাঁড়ির পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। শিলো মিন্জের ছেলে অমল মিন্জ বিধাননগর থানায় অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়। খুনের ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রায় দু’বছর মামলা চলার পর এ দিন রায় দেয় আদালত। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একটি দোকানের মালিক রোহিত শর্মা ঘটনার সাক্ষ্য দেন। মোট ২১ জনের সাক্ষ্যর ভিত্তিতে শাস্তি ঘোষণা করে আদালত।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.