দেরিতে হলেও অবশেষে ভুল শুধরে নিল কলকাতা পুরসভা। আনন্দবাজারের খবরের জেরে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই শহরের পথনির্দেশক ফলকের ইংরেজি বানানে ফের পিতৃদত্ত নামেই ফিরলেন গোষ্ঠ পাল। ফলক থেকে মুছে গেল ময়দানের প্রবাদপ্রতিম ফুটবলারের ভুল নামটি— ‘গোসটুয়া’।
তাঁর বাবার নামের ভুল পুরসভা শুধরে নিয়েছে জানতে পেরে প্রয়াত ফুটবলারের পুত্র নিরাংশু পাল এ দিন বললেন, “খুব ভাল লাগছে। বহু জায়গায় দৌড়েও তো কোনও ফল পাইনি! অবশেষে পুরসভার ঘুম ভাঙায় ভাল লাগছে।” খুশি প্রাক্তন ফুটবলাররাও। চুনী গোস্বামী বলছেন, “খুব ভাল খবর।” মোহনবাগানের আর এক ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্য বললেন, “ক্রীড়ামন্ত্রীকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। গোষ্ঠ পালের বানানে ভুল থাকলে শিক্ষার দৈন্যতাই প্রকট হয়।” সুভাষ ভৌমিকের কথায়, “গোষ্ঠবাবু গোসটুয়া থেকে ফের যে গোষ্ঠ হলেন তা শুনে মনটা আনন্দে ভরে গেল।” |
ভ্রম সংশোধন চলছে। ছবি: উৎপল সরকার |
পুরসভার পথ নির্দেশক ফলকে গোষ্ঠ পালের ইংরেজি বানান বিভ্রাট বুধবার সকাল থেকে জানাজানি হওয়ার পর ময়দান জুড়ে আলোড়ন ওঠে। বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসতে থাকে পুরসভায়। উদ্যোগ নেন মোহনবাগান কর্তারাও। অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত শহরের মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফলকের ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রও কথা বলেন মহানাগরিকের সঙ্গে। দুপুরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ ফলকের ইংরেজি বানান ঠিক করে লেখার জন্য নির্দেশ পাঠান তাঁর বিভাগের আধিকারিকদের। মেয়র পারিষদের উপস্থিতিতেই বিকেলের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করে পুরসভা।
ক্লাবের প্রবাদপ্রতিম ফুটবলারের নামের ভুল পুরসভা শুধরে নেওয়ায় খুশি মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্রও। বলছিলেন, “আমাদের চোখে আগে পড়েনি। তাই ভুলটা থেকে গিয়েছিল। তবে ক্রীড়ামন্ত্রী এবং মহানাগরিককে ধন্যবাদ চটজলদি ভুলটা শুধরে দেওয়ার জন্য।” ক্রীড়ামন্ত্রীও বলছেন, “খবর পাওয়া মাত্রই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে কাজটা করিয়েছি।”
|