|
|
|
|
আমরাই খুন করেছি সৌরভকে, দাবি পাক সেনার |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
ইউটিউব মারফত হঠাৎই ছড়িয়ে পড়ল মিনিট চারেকের ছোট্ট একটি ভিডিও ক্লিপ। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় জওয়ান, ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়াকে খুন করার ঘটনা অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছে নায়ক গুল নামের এক পাকিস্তানি সেনা।
কার্গিল সংঘর্ষের প্রাক্কালে এই সৌরভ কালিয়া ও তাঁর ৫ সহকর্মী, অর্জুন রাম, ভানওয়ার লাল ভাগারিয়া, ভিখা রাম, মুলা রাম ও নরেশ সিংহকেই দীর্ঘ কুড়ি দিনেরও বেশি সময় ধরে নিজেদের হেফাজতে আটকে রেখে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছিল পাক সেনা। খুন করে তাঁদের মৃতদেহ পাঠিয়ে দিয়েছিল ভারতে তাঁদের পরিবারের কাছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে নিহত ওই ছয় জওয়ানের দেহে ছিল একাধিক ক্ষতচিহ্ন। তাঁদের সারা দেহে ছিল সিগারেটের ছেঁকার দাগ, কান কেটে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের।
ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়ার মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। এই ক’দিনে সুবিচারের দাবিতে সৌরভের বাবা এন কে কালিয়া বারবার ছুটে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। একাধিক বার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দ্বারস্থও হয়েছেন। কিন্তু আখেরে লাভ হয়নি কিছুই। বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছিলেন এন কে কালিয়া। কিন্তু শেষমেশ তা ধামাচাপা পড়ে যায়। ছেলের মৃত্যুর কিনারা করতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। দাবি ছিল, পাকিস্তানের জেলে যুদ্ধবন্দি সৌরভকে মেরে ফেলার ঘটনা আর্ন্তজাতিক আইন বিরোধী।
পাকিস্তান সরকারের তরফে অবশ্য কখনও সৌরভ ও তাঁর সহকর্মীদের হত্যা করার ঘটনা স্বীকার করা হয়নি। উপরন্তু প্রাক্তন পাক অভ্যম্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক জানিয়েছিলেন, খারাপ আবহাওয়ার জন্যই মৃত্যু হয়েছে সৌরভের। ইউটিউবে ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর এখন এন কে কালিয়া চান বিষয়টি নিয়ে আর্ন্তজাতিক বিচারালয়ের দ্বারস্থ হোক ভারত সরকার।
|
পুরনো খবর: আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে আপত্তি কেন্দ্রের |
|
|
|
|
|