কলকাতায় মৃত্যু হল আজিজের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
চতুর্থ দফা ভোটের দিন বোমা বিস্ফোরণে আহত আবদুল আজিজের মৃত্যু হল। মঙ্গলবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গত ২২ জুলাই কালিয়াচক থানার বীরনগর ১ পঞ্চায়েতের লালুটোলার নতুনহাট গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে ৬ বছরের আবদুল আজিজ, মামন শেখ ও চার বছর ৬ মাসের আফসানা খাতুন জখম হয়েছিল। তিন জনের মধ্যে আজিজের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। সে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সেরিনা সুলতানার ছেলে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বাড়ির সবাই বাড়ি থেকে ১৫০ মিটার দূরে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনটি শিশু বাড়ির উঠোনে খেলা করছিল। তৃণমূল প্রার্থী সেরিনা সুলতানার জা সাজেদা বিবি জানিয়েছেন, সবাই ভোট দিয়ে বাড়িতে ঢুকতে যাবে, তখন পর পর দু’টি বোমার শব্দ। বাড়িতে ঢুকে দেখি আমার দুটি শিশু ও জা-এর ছেলে আবদুল আজিজ বোমার আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে ছটপট করছে। কেউ না থাকার সুযোগে কংগ্রেসিরা আমাদের বাড়িতে বোমা মেরেছে। বোমা বিস্ফোরণে তিন জন শিশু জখম হয়।” বোমার আঘাতে মারাত্মক জখম আবদুল আজিজকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আবদুল আজিজকে কলকাতায় পিজিতে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। আজ সকাল আটটায় সে মারা গিয়েছে।” মৃত শিশুর মা সেরিনা সুলতানা কালিয়াচক থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও এখন পুলিশ এক জন অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। বিস্ফোরণে দলের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ তোলায় জেলা কংগ্রেসের সভাপতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “শিশুদের উপর কেউ বোমা ছোড়েনি। তৃণমূল প্রার্থী বাড়িতে বোমা মজুত করে। সবাই যখন ভোট দিতে গিয়েছিল। তখন বাড়ির তিনটি শিশু বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে তা ফেটে যায়। ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে কংগ্রেসের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে তৃণমূল।”
|
জেল থেকে লড়েই জয়ী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
জেল থেকে লড়েই পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী তৃণমূলের সহ-সভাপতিকে হারিয়ে জয়ী হলেন সিপিএমের প্রার্থী বাবলু মন্ডল। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের মহাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ঘটনা। মহাবাড়ির ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বাবলুবাবু। ৪৭১ ভোটে হারিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী সুকান্ত মন্ডলকে। পরাজিত সুকান্তবাবু ওই পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি ছিলেন। বংশীহারির নেতা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য গৌতম গোস্বামী বলেছেন, “ভোটের দু’দিন আগে বুনিয়াদপুরে দলের প্রার্থী বাবলু মন্ডলকে তৃণমূল থেকে মারামারির মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়।” পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে একাধিক ফৌজদারির মামলা রুজু করে আদালতে পাঠায়। সিপিএম প্রার্থী বাবলুবাবুর জেল হেফাজত হয়ে যায়। ভোটের দিন তিনি জেলেই ছিলেন। সোমবার ফল প্রকাশের পর দেখা যায় এলাকার মানুষ তাঁকেই বেছে নিয়েছেন। বর্তমানে জেলবন্দি বাবলু মণ্ডলকে এদিন দলের তরফে জয়ের খবর পৌঁছে দেওয়া হয়। |