কয়েক দিন জ্বর ভোগার পরে একই রাতে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার ভালুকা গ্রামে। মৃতেরা হলেন সুন্দরী হাঁসদা(৩৮) ও নির্মল হাঁসদা(১১)। গ্রামবাসীরা জানান, গত ১৯ জুলাই দু’জনকেই বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে ২৬ জুলাই রেফার করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার রাতে মা-ছেলের মৃত্যু হয়। জ্বরে ভুগছেন সুন্দরীর স্বামী চুনারাম হাঁসদাও। মডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মলের মৃত্যু হয়েছে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ায়। সুন্দরীদেবীর মৃত্যুর কারণ সেপ্টিসেমিয়া। |
গ্রামে রক্তপরীক্ষা।— নিজস্ব চিত্র |
তাঁর বড় ছেলে সন্তোষ হাঁসদা বলেন, “কিছুদিন ধরেই মা আর ভাইয়ের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছিল। যন্ত্রণা হচ্ছিল মাথায়। বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করিয়েও বাঁচাতে পারলাম না। এখন বাবাও জ্বরে পড়েছেন। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।” আতঙ্কিত গ্রামবাসী মাখন হাঁসদা, কৃষ্ণা মান্ডিরা বলেন, “আমরা খুব চিন্তায় রয়েছি।” বিষ্ণপুরের পুরপ্রধান তথা রাজ্যের শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জানান, গ্রামবাসীদের কাছে জেনেই বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরকে তিনি দেখতে বলেছেন। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরেশ দাস বলেন, “ওই গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর যা করণীয় সবই করা হবে।”
|
মিড-ডে মিল খাওয়ার পরেই অসুস্থ বোধ করছে বলে জানিয়েছিল কিছু খুদে পড়ুয়া। আর তার জেরে মঙ্গলবার পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া ব্লকের পারবেলিয়া গ্রামে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। তবে, খবর পেয়ে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে দ্রুত চিকিৎসকদল পৌঁছয় স্কুলে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১২ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ফাল্গুনী গোস্বামী জানান, ওই ১২ জনকে হাসপাতালে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, পারবেলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ ডাল, ভাত ও তরকারি খায় স্কুলের জনা ষাটেক পড়ুয়া। কিছু পরে কয়েক জন জানায়, তাদের পেটেব্যথা করছে, বমিবমি ভাব রয়েছে। তা শুনে আরও কিছু পড়ুয়া অসুস্থ বোধ করতে থাকে। বিহারের ছপরায় মিড-ডে মিল খেয়ে শিশুমৃত্যুর খবর জানা থাকায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। ছুটে আসেন অভিভাবকেরা। বাচ্চাদের কোলে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায় কিছু অভিভাবককে। বিডিও শারদদ্যুতি চৌধুরী জানান, পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে, চিন্তার কিছু ঘটেনি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “কয়েক জন অসুস্থ বোধ করায় আমরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। বাকি পরীক্ষায় কিছু পাওয়া যায়নি।” যোগাযোগ করা যায়নি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক রজকের সঙ্গে। জেলা শিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, “কিছু ছাত্র খাবারে কালো মতো কিছু দেখতে পেয়েছে বলে জানানোর পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।”
|
রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার একটি স্কুলে মিড ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুরা। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাদের। ওই মিড মে মিল থেকে টিকটিকি পাওয়া যায়। স্কুলের প্রধানশিক্ষক কৈলাস গর্গ ও মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্বে থাকা দীনেশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ম্যাঙ্গালোরেও এমন একটি ঘটনায় মিড ডে মিল থেকে মিলেছে ইঁদুর। ম্যাঙ্গালোরের কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অবশ্য শিশুদের ওই খাবার পরিবেশন করার আগেই বিষয়টি ধরা পড়ে।
|
বিশেষ ক্ষেত্রে গর্ভপাতে সম্মতি জানিয়ে সেই সংক্রান্ত প্রস্তাবিত বিলে সই করলেন আইরিশ প্রেসিডেন্ট। ক্যাথলিক দেশ আয়ার্ল্যান্ডে অবশেষে প্রয়োজনে গর্ভপাতের বিষয়টি আইনি অনুমতি পেল। প্রসঙ্গত, ক্যাথলিক দেশে গর্ভপাত আইনসিদ্ধ না হওয়ায় মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত দন্ত চিকিৎসক সবিতা হলাপ্পনাভারের। |
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশ। মঙ্গলবার মাটিগাড়ার তারাবাড়ি এলাকায় এই শিবিরে প্রায় ১ হাজার মানুষ এই শিবিরের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ নেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন। তিনিই শিবিরের উদ্বোধন করেন। |