স্কুল ছাত্রীকে গুলি করে খুনের পরে ৪৮ ঘণ্টাও কাটেনি। এবার ফালাকাটা শহরের কাছে ছাত্রীকে ফুঁসলে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে ২ যুবককে আটকে গাছে বেঁধে মারধর করল জনতা। মঙ্গলবার দুপুরে রাইচেঙা স্কুলের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম কাজল আচার্য ও রানা দাস। কাজল রাণাঘাটের ও রানা গোয়ালপোখরের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কয়েকজন তরুণীর ছবি ও একাধিক সিম কার্ড মিলেছে। দুজন কোনও নারী পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “ধৃতদের জেরায় অনেক তথ্য মিলবে আশা করছি।” |
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই যুবক অসমের একটি গ্রিল কারখানায় কাজ করে। মাস তিনেক আগে কাজল ফালাকাটায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে ওই একাদশ শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে আলাপ জমায়। ওই কিশোরীর মোবাইল নম্বর জোগাড় করে কাজল রানাকে দেয়। রানা ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এদিন স্কুলের টিফিনের সময়ে ছাত্রীটি বার হয়। সেই সময়ে ওই দুজন যুবক বাইরে অপেক্ষা করছিল। ছাত্রীটি তাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। অচেনা দুজন যুবককে এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখে স্থানীয় জনতা তাদের গিরে ধরে। ওই ছাত্রীকে তারা কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল জেনে দুজনকে নিম গাছে বেঁধে গণপ্রহার শুরু করে জনতা। ইতিমধ্যে পুলিশ খবর পায়। ওই স্কুলের শিক্ষক বাধন দে বলেন, “স্কুলের সামনে থেকে দুই যুবক যে ভাবে আমাদের এক ছাত্রীকে ফুঁসলে অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে তা ভাবা যায় না। এর পেছনে চক্র কাজ করছে বলে আমাদের সন্দেহ। নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখুক।” |