|
|
|
|
অশান্তি নানা প্রান্তে |
মালদহে দু’জন খুন, শান্তি রক্ষার নির্দেশ মমতার
নিজস্ব প্রতিবেদন |
রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মঙ্গলবার দলীয় সাংসদদের নিজের নিজের জেলায় ঘোরার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই সোমবার রাতে মালদহের দু’জায়গায় খুন হলেন এক কংগ্রেস এবং এক সিপিএম কর্মী। তা ছাড়াও, রাজ্যের নানা প্রান্তে রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত।
মঙ্গলবার মহাকরণে দলের সাংসদদের বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে সাংসদ কবীর সুমন ছাড়া প্রত্যেক সাংসদই উপস্থিত ছিলেন। নিজের ঘরে দীর্ঘক্ষণ নানা বিষয় নিয়ে সাংসদদের সঙ্গে মমতার কথা হয়। মহাকরণ সূত্রের খবর, বৈঠকে মমতা প্রত্যেক সাংসদকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের সাফল্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিতে বলেন। মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে বলেন। দলের সাফল্যকে ঘিরে কোথাও যাতে হিংসার ঘটনা না ঘটে সে দিকেও সাংসদদের নজর রাখতে বলেছেন।
সোমবার রাতে কালিয়াচকের বামনটোলা গ্রামে গলার নলি কেটে কংগ্রেস কর্মী নুরশাদ শেখ (৪২)-কে খুন করা হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এ কাজ করেছে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
ভাঙচুরের পর পোলবার সিপিএম কার্যালয়। ছবি: তাপস ঘোষ। |
হরিশ্চন্দ্রপুরের কাউয়ামারিতে মতিউর রহমান (৪০) নামে এক সিপিএম কর্মীকে খুন করা হয়। অভিযোগের তির কংগ্রেসের দিকে। কংগ্রেস অভিযোগ মানেনি। ওই রাতেই হুগলির পোলবার আলিনগরে সিপিএমের একটি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রহৃত হন কয়েক জন সিপিএম কর্মী-সমর্থক। নদিয়ায় এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। জখম ওই তৃণমূল কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের রঘুনাথপুরে সিপিএম প্রার্থী মঞ্জুরা বিবির বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বনগাঁর ঘিড়া গ্রামে দুই তৃণমূূল কর্মী প্রহৃত হন।
গাইঘাটায় সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূূলের বিরুদ্ধে। স্বরূপনগরে তৃণমূলের কাউন্টিং এজেন্ট হওয়ার ‘অপরাধে’ এক যুবক ও তাঁর বাবাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। হাসনাবাদে এক তৃণমূল নেত্রীকে মারধর এবং তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। সিপিএম অভিযোগ মানেনি। দেগঙ্গায় সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে আট জন আহত হন।
মঙ্গলবারেও গোলমাল থামেনি। সিপিএম, তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও ইসলামপুরে তিন দলের অন্তত ২৫ জন আহত হন। ডোমকলের মেহেদিপাড়ায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষে জখম হন দুই কংগ্রেস কর্মী। |
|
|
|
|
|