|
|
|
|
রাজ্যের স্কুলগুলিতে অমিল জল, শৌচাগার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শিক্ষার অধিকার আইন কার্যকর হওয়ার পর কেটে গিয়েছে চার মাস। এখনও বেশির ভাগ স্কুলেই নেই উপযুক্ত পরিকাঠামো। শৌচাগার, পানীয় জল থেকে মিড-ডে মিলের রান্নাঘর, সবেতেই রয়ে গিয়েছে বড়সড় ঘাটতি। স্কুলে পরিকাঠামোর এই বেহাল দশা ধরা পড়েছে রাজ্যব্যাপী সমীক্ষায়।
শিক্ষা ক্ষেত্রে কর্মরত বেসরকারি সংস্থাদের মঞ্চ ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এডুকেশন নেটওয়ার্ক’ এবং ‘চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ’ এই দুটি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের বারোটি জেলার মোট ২৩৪টি স্কুলে সমীক্ষা করা হয়েছিল। স্কুলগুলিতে পরিচালন কমিটি না থাকাই পরিকাঠামো উন্নয়নের মূল বাধা বলে চিহ্নিত করেছেন সংস্থার কর্মীরা।
শিক্ষকদের তরফেও আন্তরিকতার অভাব আছে বলে জানান একটি বেসরকারি শিক্ষা সংস্থার কর্মী অতনু সাঁই। তিনি বলেন, “অনেক সময়ে মেয়েদের শৌচাগার থাকলেও তাতে পর্যাপ্ত জল, বা সামান্য ছিটকিনিটাও থাকে না। ফলে শৌচাগার থেকেও ব্যবহার হচ্ছে না।” তিনি আরও জানান, আইনে স্কুলে লাইব্রেরি থাকার কথা বলা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা নেই। থাকলেও সাধারণত ছাত্রদের বই নিতে দেন না শিক্ষকেরা।
|
স্কুলশিক্ষায় নেই-রাজ্য |
কী নেই |
কত স্কুলে |
মেয়েদের পৃথক শৌচাগার |
৪০ |
পানীয় জলের ব্যবস্থা |
২০ |
বিদ্যুৎ সংযোগ
|
৬৬ |
খেলার মাঠ |
৬০ |
বসার ব্যবস্থা |
৩৭ |
স্কুলের প্রাচীর |
৭২ |
রান্না, খাওয়ার ব্যবস্থা |
৩১ |
* শতাংশে |
|
স্কুল পরিকাঠামোর উন্নতির উপর নজরদারি করতে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছিল গত বছর। তার পর বার তিনেক বৈঠক হলেও, সভাপতি সত্যেন ঘোষ ইস্তফা দেওয়ার পর টাস্ক ফোর্স কার্যত অচল হয়েছে, জানা যায় শিক্ষা দফতর সূত্রেই। সর্বশিক্ষা মিশনের অধিকর্তা ছোটেন লামা বলেন, “কী পাওয়া গিয়েছে ওই সমীক্ষায়, নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে। পরিকাঠামো বিষয়ে কেন্দ্রের রিপোর্টে কিন্তু সব পরিসংখ্যান সন্তোষজনক বলেই দেখাচ্ছে।”
তবে শিক্ষা দফতরের শীর্ষ কর্তারাই স্বীকার করেন, স্কুলগুলি থেকে পাঠানো তথ্য দিয়েই তৈরি হয় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রিপোর্ট। বহু স্কুলে কিন্তু পরিচালন কমিটি শৌচাগার বা রান্নাঘর তৈরির টাকা নেওয়ার পর তা ব্যাঙ্কে রেখে দেন। রিপোর্ট লেখেন, তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাস্তব যাচাই করা হয় না বলে পরিকাঠামোয় এত খামতি থেকে যাচ্ছে। |
|
|
|
|
|