|
|
|
|
ফল বেরোতেই ফের শুরু সংঘর্ষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
নির্বাচনের ফল প্রতাশিত হতে না হতেই ফের শুরু হল রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা। মঙ্গলবার দুপুরে হলদিয়া ব্লকের দেউলপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বাড়িবেড়িয়ায় সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম হন দু’পক্ষের এক মহিলা-সহ ৯ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের এক জয়ী প্রার্থীও। মহিষাদলের বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের শুকলালপুরেও সংঘর্ষে ৬ জন জখম হয়েছেন।
হলদিয়া ব্লকের মাইলপোস্ট এলাকার ২৮ নম্বর বুথে এ বারে জয়ী হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী কিশলয় সর্দার। সোমবার রাতে সিপিএমের জয়োল্লাস চলাকালীন ওই পথেই গণনা সেরে ফিরছিলেন বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থক। তাঁরা সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের ছোঁড়া পটকা, কটূক্তিতে উত্তেজিত হলে দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। সে সময় সিপিএমের এক দলীয় কার্যালয়েও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। দুপুরে ফের দু’পক্ষের বচসা বাধে। সে সময় সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি আক্রমণ এবং তৃণমূলের দু’টি কার্যালয় ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সুতাহাটা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের কর্মী বিশ্বজিত বেরা, সঞ্জয় মান্না, সুশান্ত সর্দার-সহ পাঁচ কর্মী-সমর্থককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এ দিকে জয়ী প্রার্থী কিশলয় সর্দার-সহ শচীদানন্দ দাস, কাননবালা দাসকে লাঠি, ছোড়া দিয়ে আঘাত করা হয় বলে বামেদের অভিযোগ। তাঁদের বিকেলে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সিপিএমের শাখা সম্পাদক দেবপ্রসাদ প্রামাণিকের দাবি, “সোমবার রাতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আক্রমণ করে। সেই অভিযোগ জানাতে আমাদের কর্মীরা থানায় যাচ্ছিলেন। তখন রাস্তা থেকে তাঁদের ধরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢুকিয়ে অশোক মাইতির নেতৃত্বে ওঁদের মারধর করা হয়।” যদিও তৃণমূল নেতা ২৬ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থী অশোক মাইতির পাল্টা অভিযোগ, “আমাদের কর্মীদের ওপরই ওঁরা আক্রমণ করে। পাল্টা মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন।” মহিষাদলের শুকলালপুর গ্রামেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের হাঁসখালি বুথে সিপিএম প্রার্থী জয়ী হওয়ায় স্থানীয় এক ক্লাবে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল। সেই সময়ই শেখ মোশারফ নামে এক তৃণমূলকর্মী বাড়ি ফেরার তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান। পরে তারাও পাল্টা চড়াও হয়। সংঘর্ষ জখম হন সিপিএমের আরতি মণ্ডল, সান্তনা ঘোড়ই ও স্বপন মণ্ডল। তাঁদের বাসুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সিপিএমের স্থানীয় জয়ী প্রার্থী তপন রায় ও তৃণমূল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মাইতি ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে দায় চাপিয়েছেন। |
|
|
|
|
|