পশ্চিমবঙ্গ টেবল টেনিস সংস্থার বার্ষিক সভায় ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র ঢুকে ঠিক করেননি, বলে দিলেন ওই সংস্থার পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার বললেন, “আমি কাউকে ডাকিনি। এটা আমি সমর্থনও করি না। কেন মন্ত্রী ঢুকেছিলেন তা-ও জানি না।” সভায় ঢুকে যাঁকে ক্রীড়ামন্ত্রী জোর করে প্রেসিডেন্ট করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই সোমনাথবাবুই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শুনে স্বয়ং মন্ত্রীর মন্তব্য, “উনি তো ঠিকই বলেছেন। এক বন্ধু ডেকেছিল বলে আমি বিরিয়ানি খেতে সভায় গিয়েছিলাম। ওরা ঝগড়া করছিল সভায়। আমি বলেছিলাম সোমনাথবাবুকে সামনে রেখে দেখুন এগোনো যায় কি না।”
রাজ্য সংস্থার নির্বাচন অবশ্য ইতিমধ্যেই অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে সর্বভারতীয় টিটি সংস্থা। কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর অবৈধ হস্তক্ষেপ। সোমনাথবাবু অবশ্য বললেন, “আমি পদত্যাগপত্র টিটিএফআই সচিবের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। অনেক হয়েছে। আর আমি টিটিতে নেই। ওরা যা পারে করুক। যেসব মিথ্যা কথা সংস্থার সচিব হেমেন ভট্টাচার্য বলেছেন, বা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাতে আমি হতাশ। জীবনে এ রকম দুঃখ পাইনি।” প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সোমনাথবাবু সরে যাওয়ায় টিটি নির্বাচন নিয়ে ডামাডোল তুঙ্গে উঠবে বলে আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ টিটিএফআই পুরনো কমিটিকে নির্বাচন করতে বলেছে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। দেখার এখন, কী ভাবে অসংখ্য গোষ্ঠীতে বিভক্ত পৌলমী-মৌমাদের খেলাটা এ রাজ্যে বাঁচে! |