|
|
|
|
স্বশাসিত পরিষদ |
সংবিধান সংশোধনী খসড়ায় আপত্তি ত্রিপুরার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
ত্রিপুরার উপজাতি এলাকার স্বশাসিত জেলা পরিষদকে আরও ক্ষমতা দিতে প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনী বিলের খসড়া নিয়ে আপত্তি তুলল রাজ্য সরকার।
উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী অঘোর দেববর্মা জানান, প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ওই পরিষদের আয়-ব্যয়ের বিষয়টি রাজ্যপালের নজরদারিতে রাখার প্রস্তাব রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী ওই প্রস্তাব কেন্দ্র-রাজ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিপন্থী। সংবিধানের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে পঞ্চায়েত বা স্বশাসিত সংস্থার বিষয়ে রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার কতটা, তার উল্লেখ রয়েছে।
কেন্দ্রের বক্তব্য, ‘ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াজ অটোনোমাস ডিস্ট্রিট কাউন্সিল’-এর (টিটিএএডিসি) সাংগঠনিক ব্যবস্থা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মতো করা হোক। পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে যে ভাবে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম করা হয়ঠিক সেভাবেই ত্রিপুরার স্বশাসিত জেলা পরিষদের পরিচালন ব্যবস্থা সাজানোর প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র।
বর্তমানে, টিটিএএডিসি-র গ্রাম কমিটির সদস্যরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবেই কাজ করেন। প্রশাসনিক স্তরে গ্রাম কমিটির পরবর্তী পর্যায়ে সাব-জোনাল, জোনাল স্তরে থাকেন মনোনীত প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া, রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার অর্থনৈতিক বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে রাজ্যস্তরের ‘ফিনান্স কমিটি’। মন্ত্রী বলেন, ‘টিটিএএডিসি-র সাংগঠনিক ব্যবস্থা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মতো না-হওয়া পর্যন্ত রাজ্যস্তরের ফিনান্স কমিটিকে আরও ক্ষমতা দেওয়া প্রযোজন।
প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনী বিলের খসড়াতে বলা হয়েছে, রাজ্যপালকে প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে খরচের হিসেব পাঠাতে হবে স্বশাসিত জেলা পরিষদকে।
এ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘এ ব্যবস্থা কখনই বাস্তবসম্মত নয়। প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, রাজ্যের প্রশাসনিক বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ অগণতান্ত্রিক। |
|
|
 |
|
|