|
|
|
|
ওড়িশা জুড়ে অতিবৃষ্টি, বন্যার মুখোমুখি বাংলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি-ঘাটতির মোকাবিলায় সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছিল। সেই নিম্নচাপের দাপটে ওড়িশা এবং তার লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে যে, ঘাটতি মেটানোর আশা ছাপিয়ে এখন দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা।
আকাশভাঙা বৃষ্টিতে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন নদীতে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে বিপজ্জনক ভাবে। ওড়িশা থেকে ছাড়া জল ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জলাধারে জলের পরিমাণ অত্যধিক বাড়িয়ে দিয়েছে। বিপদ এড়াতে গালুডি থেকে জল ছেড়েছে ঝাড়খণ্ড। আর তাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানান রাজ্যের সেচমন্ত্রী।
বঙ্গোপসাগরে সোমবার যে-নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল, এ দিন তার শক্তি আর বাড়েনি। উপগ্রহ-চিত্রে দেখা গিয়েছে, নিম্নচাপটি সরে গিয়েছে ওড়িশা উপকূলের দিকে। তার ফলে ওড়িশায় অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাকে সতর্ক করে দিয়েছে। দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, নিম্নচাপটি ওড়িশা উপকূল দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকবে। ফলে বৃষ্টিটা হবে ওড়িশাতেই। সেই সঙ্গে রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমে আগামী দু’দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার থেকেই ওই জেলাগুলিতে ভাল বৃষ্টি হচ্ছে।
শেষ জুলাইয়ের এই বর্ষণে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি-ঘাটতি কমবে ঠিকই। কিন্তু ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড তাদের জলাধার থেকে জল ছাড়তে শুরু করায় তার প্রভাব এসে পড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। রাজ্যের সেচ দফতর সূত্রের খবর, অতিবৃষ্টির ফলে সোমবার রাত থেকে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার ব্যাঙ্কবাল বাঁধ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়েছে। সেই জল ঝাড়খণ্ডে নেমে এসেছে। চাপ বেড়েছে গালুডি ব্যারাজের উপরে। মঙ্গলবার দুপুরে গালুডি ব্যারাজ থেকে দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জামশেদপুরের খড়কাই নদী হয়ে সেই জল এসে সুবর্ণরেখা নদীতে এসে ঢুকছে। জলস্তর বাড়ছে সুবর্ণরেখার।
সেচমন্ত্রী জানান, ওড়িশার জল নেমে আসায় ঝাড়খণ্ড সরকার গালুডি থেকে জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ওই জল ছাড়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলেই।
মন্ত্রী বলেন, “সুবর্ণরেখা নদীতে জল বাড়তে থাকায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। |
|
|
|
|
|