|
|
|
|
বড়োভূমিও আলাদা রাজ্য চায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
তেলেঙ্গানাকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারআজ এ খবর ছড়াতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বড়োভূমি। ‘বড়োল্যান্ড’কেও পৃথক রাজ্য হিসেবে না-মানলে হিংসাত্মক আন্দোলনেরও হুমকি দেওয়া হল। কেন্দ্রের আজকের সিদ্ধান্তের জেরে বন্ধ, অবরোধের ঘোষণা করেছে বড়োভূমির বিভিন্ন সংগঠন।
তেলেঙ্গানা ঘোষণার পরে বড়ো ছাত্র সংগঠন ‘আবসু’ জানিয়েছে, বড়োল্যান্ডের দাবিতে ২ অগস্ট ১২ ঘণ্টা রেল অবরোধ এবং ৫ অগস্ট থেকে ৩৬ ঘণ্টার অসম বন্ধ হবে। এরপরও তাঁদের দাবি না-মানলে ১০০০ ঘণ্টার অর্থনৈতিক অবরোধ শুরু হবে।
আজই পিজিএসিবিএম-এর বৈঠকের পর মুখপাত্র জেব্রারাম মুশাহারি বলেছিলেন, “কংগ্রেস আমাদের দাবি না-মানলে, চুপ করে বসে থাকব না। তেলেঙ্গানা গঠন করা হলে আমাদেরও ৪৭ বছরের সংগ্রামকে স্বীকৃতি দিতে হবে। বড়োল্যান্ডের দাবি কেন্দ্র মেনে না-নিলে বাধ্য হয়েই হিংসাত্মক আন্দোলনে নামব।” ‘বড়োল্যান্ড’ গঠনের দাবিতে সরব অসমে কংগ্রেসের শরিক বিপিএফ-ও। দলের প্রধান হাগ্রামা মহিলারি বলেছেন, “বড়োল্যান্ডের দাবি নিয়ে সংসদে তেলেঙ্গানার মতোই আলোচনা হওয়া উচিত।” পৃথক রাজ্যের দাবিতে যৌথ মঞ্চ (পিজিএসিবিএম) গড়েছে বড়োভূমির ৫৫টি সংগঠন। এ বিষয়ে ২০১০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি প্রস্তাব মঞ্জুর করেছে ‘বড়োল্যান্ড পরিষদীয় বিধানসভা’। একই দাবিতে বড়ো জঙ্গি সংগঠন এনডিএফবি-ও আন্দোলন শুরু করছে। পৃথক রাজ্যের দাবিতে ৪ অগস্ট কোকরাঝাড়ে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিপিএফ।
পশ্চিমবঙ্গের ৬টি ও অসমের ১৫টি জেলা নিয়ে পৃথক কামতাপুর রাজ্য চাইছে ‘অল কোচ রাজবংশী ছাত্র সংগঠন’। ১ অগস্ট থেকে পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে ৩৬ ঘণ্টা অসম বন্ধের ডাক দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়। তিনি বলেন, “আমরা তেলেঙ্গানা গঠনের বিরোধী নই। কিন্তু, কামতাপুরের ক্ষেত্রে কোন যুক্তিতে দ্বিচারিতা করছে?” |
|
|
|
|
|